বিস্ফোরক: মিনি ডার্বির আগে কড়া মেজাজে বিশ্বজিৎ। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে মোহনবাগান বনাম মহমেডান ‘মিনি ডার্বি’-র আগেই উত্তপ্ত ময়দান!
রেফারির সাহায্যে পাঠচক্র এফসি-র বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল জিতেছে বলে দু’দিন আগে অভিযোগ করেছিলেন মোহনবাগান কর্তারা। এ বার সবুজ-মেরুন শিবিরের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ মহমেডান কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের!
ছয় ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবলের শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগান দ্বিতীয় স্থানে। আর এক ম্যাচ কম খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে মহমেডান। খেতাবি দৌড়ে ফিরে আসতে হলে সোমবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে দিপান্দা ডিকা-দের। কিন্তু মিনি ডার্বির আগে মহমেডান কোচের উদ্বেগ বাড়িয়েছে রেফারিং। বিশ্বজিতের তোপ, ‘‘রেনবো এসসি-র বিরুদ্ধে মোহনবাগানের হার নিশ্চিত ছিল। কিন্তু রেফারি প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই ওরা কোনও মতে ড্র করে হার বাঁচিয়েছিল। প্রাঞ্জল মনে হয়ে রেফারিং করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এখন ওর কয়েক দিন বিশ্রাম নেওয়া উচিত।’’ এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলও তো রেফারির সাহায্য পেয়েছিল পাঠচক্রের বিরুদ্ধে।’’
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সাদা-কালো শিবিরে অস্বস্তি আরও বেড়েছে একঝাঁক ফুটবলার অসুস্থ হয়ে পড়ায়। গোলরক্ষক মহম্মদ রশিদ সদ্য ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। জ্বরে কাবু ডিফেন্ডার প্রণীত লামা। আর সুস্থ হয়ে সবে মাঠে ফিরেছেন ডিফেন্ডার রিচার্ড সোমতোচুকু। এই পরিস্থিতিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা মোহনবাগানের কামো বায়ি, আনসুমানে ক্রোমা-কে আটকানো কতটা চ্যালেঞ্জের? মহমেডান কোচের হুঙ্কার, ‘‘কামো-ক্রোমা দু’জনেই গোলের মধ্যে আছে ঠিকই। কিন্তু আমি শুধু ওদের নিয়ে ভাবছি না। পুরো মোহনবাগান দলটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘মোহনবাগান শক্তিশালী দল। ওদের তুলনায় আমার দলে ফুটবলারদের অভিজ্ঞতা হয়তো কম। তবে লড়াইটা কিন্তু মাঠেই হবে।’’
মিনি ডার্বি জয়ের লক্ষ্য আজ, রবিবার দুপুরে কল্যাণী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন কামো-রা। মহেমেডান অবশ্য নিজেদের মাঠেই প্রস্তুতি সারবে। বিশ্বজিতের যুক্তি, ‘‘কল্যাণী তো আর কৃত্রিম ঘাসের মাঠ নয়। তাই ওখানে আলাদা করে প্র্যাকটিস করার প্রয়োজন নেই।’’ তবে কল্যাণীতে ম্যাচ হওয়ায় ক্ষুব্ধ খুশি নয় মহমেডান শিবির। তাদের পছন্দ বারাসত স্টেডিয়াম।
মোহনবাগান বধের প্রস্তুতির মধ্যেই নিঃশব্দে পালা বদল ঘটে গেল মহমেডান প্রশাসনে। অসুস্থতার কারণে ফুটবল সচিবের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ইকবাল আহমেদ। নতুন ফুটবল সচিব হলেন সদ্য প্রয়াত সভাপতি সুলতান আহমেদের ছোট ছেলে শারিক আহমেদ। তবে নতুন সভাপতিও রাজনৈতিক জগতের। তিনি, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy