ছবি উৎপল সরকার
কোন অস্ত্রে অপ্রতিরোধ্য
দ্যুতির ফর্ম
দুর্দান্ত বল কন্ট্রোল। ডিফেন্স চিরে ঢোকা। খেলাটা ছড়ানো। দ্যুতি বল ধরা মানে কলকাতার ম্যাড়ম্যাড়ে মুভও এখন প্রাণবন্ত।
আঁটোসাঁটো ডিফেন্স
কেরল ম্যাচ জিতলেও দু’গোল খাওয়ায় ডিফেন্স এখন বাড়তি সতর্ক। বেশি ফাইনাল ট্যাকল নয়। স্কোয়ার পাস কম। বল পাওয়ামাত্র ক্লিয়ার হচ্ছে। কলকাতা মানেই এখন ‘নো ননসেন্স ডিফেন্স’।
অমরিন্দরের গ্লাভস
স্বদেশীয় কিপার কালাতাউদকে রিজার্ভে বসিয়ে রেখেছেন হাবাস। মানেই বুঝুন অমরিন্দর কত ভাল খেলছে। প্রতিটা ম্যাচে উন্নতি করছে। কী অবিশ্বাস্য সব সেভ!
সাইডব্যাকদের ট্র্যাক ব্যাক
ওরা ওভারল্যাপে গেলেও প্রয়োজনে দ্রুত নীচে নামছে। ডিফেন্সে বাড়তি লোক পাচ্ছে কলকাতা।
নিজের মগজাস্ত্র
হাবাসের চালে শেষ চারটে ম্যাচে মাঝমাঠ কলকাতার দখলে ছিল। বিপক্ষ হাই ডিফেন্সিভ লাইন রাখলে লং বলে খেলছে। সমানে জায়গা পাল্টাচ্ছে। ওদের মার্ক করা যাচ্ছে না।
নতুন যে মন্ত্র পাচ্ছি
• কোনও পরিস্থিতিতে ভয় পান না। ফুটবলারদের চোট হোক বা টিমের হার, হাবাসের মুখে টেনশন দেখিনি। কোচের মধ্যে ভয় ঢুকে পড়লে তার ছাপ দলের মধ্যে পড়ে।
• সব সময় ‘প্ল্যান বি’ থাকে। রবিবারই দেখলাম তিন বার ফর্মেশন পাল্টালেন। ৪-৫-১ থেকে ৪-৩-৩ হয়ে ৪-৪-২। তা হলে বুঝে নিন হাবাসের ম্যাচ রিডিং কী অসাধারণ।
• বেঞ্চ শক্তিশালী নয়। কিন্তু সঠিক সময় মোক্ষম পরিবর্তন করে যাচ্ছেন হাবাস। কেরল ম্যাচে যখন বুঝেছিলেন বিপক্ষ হাঁফিয়ে উঠেছে, তখন আরাতাকে নামিয়ে ওর গতি আর গোলের খিদে কাজে লাগান।
• নামের উপর ভরসা রাখেন না। যত বড় প্লেয়ারই হোক, পারফর্ম না করতে পারলেই বসিয়ে দেন। আবার ফর্মে ফিরিয়ে এনে তাকে খেলান। এটা কোচের নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাসের প্রমাণ।
• সেট পিসে হাবাসের পজিশনিং প্ল্যানিং দুর্দান্ত। সব কিছু অঙ্ক কষা। রক্ষণাত্মক কোচ। নিজের ঘর আগে সাজিয়ে তার পর আক্রমণ। এটাই হাবাস-দর্শন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy