Advertisement
E-Paper

ম্লান মেসি ম্যাজিক, ব্রাজিলের কাছে তিন গোলে বিধ্বস্ত আর্জেন্তিনা

গোল করলেন গোল করালেন। বেলো হরাইজন্তেকে জীবন ফিরিয়ে দিলেন নেইমার। ২০১৪ সালের ৮ জুলাই মাঠে ছিলেন না তিনি। চোট ছিটকে দিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকেই। সেটা ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৭:৪৫

ব্রাজিল ৩ (কুটিনহো, নেইমার, পলিনহো)

আর্জেন্তিনা ০

গোল করলেন গোল করালেন। বেলো হরাইজন্তেকে জীবন ফিরিয়ে দিলেন নেইমার। ২০১৪ সালের ৮ জুলাই মাঠে ছিলেন না তিনি। চোট ছিটকে দিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকেই। সেটা ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ। জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার অভিশাপ নিয়ে বেঁচে থাকা বেলো হরাইজন্তে প্রাণ ফিরে পেল আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে। এই সেই মাঠ। যেখানে চির শত্রু আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে জয়ে ফিরল ব্রাজিল। জয়ে ফিরল ম্যাচের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখেই। জয়ে ফিরলো বেলো হরাইজন্তে। আর্জেন্তিনা বনাম ব্রাজিলকে ছাপিয়ে গিয়েছিল মেসি বনাম নেইমার। সুপার এল ক্লাসিকো লেখা থাকল নেইমারের নামেই।

ম্যাচের প্রথম নিশ্চিত গোলের সুযোগ এসেছিল আর্জেন্তিনার সামনে ২০ মিনিটে। ব্রাজিল গোলের নিচে আলিসনের মাপা ড্রাইভ সেটা গোলে পৌঁছতে দেয়নি। এর পরই কুটিনহোর অনবদ্য গোল। সেরা গোলগুলির মধ্যে হয়তো লেখা থাকবে এটি। গোলের বলটি বাড়িয়েছিলেন নেইমারই। কিন্তু একক দক্ষতায় আর্জেন্তিনার জালে বল জড়ালেন তিনি। বাঁদিকে বল ধরে আর্জেন্তিনা রক্ষণকে কাটিয়ে সেন্টারে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কুটিনহোকে রক্ষণ ভেঙে বেরিয়ে আসতে দেখে জায়গা ছেড়ে এগিয়ে এসেছিলেন আর্জেন্তিনা গোলকিপার রোমেরো। সেই সুযোগেই বক্সের বাইরে থেকে কুটিনহোর বাঁ পায়ের শট রোমেরোকে কাটিয়ে চলে যায় গোলে। এগিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাস পেয়ে যায় হোম টিম।

আর্জেন্তিনার রক্ষণ সত্যি চিন্তায় রাখবে মেসিদের। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ব্রাজিলের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে যান সেই নেইমার। গ্যাব্রিয়েলের পাঠানো বল ঠান্ডা মাথায় গোলে ঠেলেন নেইমার। আর্জেন্তিনা রক্ষণের সঙ্গে গোলকিপার রোমেরোকেও দায়ী করতে হবে এর জন্য। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ গোল। মারাকানায় তখন উৎসবের আবহ। গোলের নাগাল পেতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেরেজকে তুলে আগুয়েরোকে নামালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। পুরো ম্যাচে যে ভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি মেসিকে। ঠিক একই ভাবে মাঠে উপস্থিতি বোঝা যায়নি দি মারিয়া বা আগুয়েরোরও। জাবালেতা, ওটামেন্ডিরা যে কী করতে নেমেছিলেন পরিষ্কার ছিল না তাঁদের কাছেও। যার ফল ৫৮ মিনিটে পলিনহোর পা থেকে ম্যাচের তৃতীয় ও শেষ গোলটি আসতেই শেষ হয়ে গেল খেলা। এখান থেকে আর ফেরা সম্ভব ছিল না আর্জেন্তিনার পক্ষে। এর পর ৪-০ও হতে পারত। ব্যবধান বাড়তে পারত আরও।

এই বেলো হরাইজন্তে দেখেছিল সাত গোলের লজ্জা নিজের দেশের। দু’বছর পর সেই মাঠে ফিরে জয়ের পথে হাঁটতে শুরু করে দিল টিম নেইমার। নেইমারের প্রাইভেট জেটে বার্সেলোনা থেকে ব্রাজিল এসেছিলেন মেসি। ফেরাটা নিশ্চই একই পথে হবে না।

আরও খবর

জার্মানির হয়ে আজ নতুন ম্যাচ ক্লোসের

Brazil vs Argentina Messi Neymar World Cup Qualifying
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy