Advertisement
০৪ মে ২০২৪

কোচ নেই, হার বিশ্ববিদ্যালয়ের

পূর্বাঞ্চল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচেই হেরে বিদায় নিল বর্ধমান। দলের কর্মকর্তাদের দাবি, ত্রিপুরাকে হালকা ভাবে নেওয়াতেই দলের এই ভরাডুবি। যদিও যথাযথ প্রশিক্ষণ বা কোচের অভাব ছিল বলে দলের একাংশেরই অভিযোগ। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারে বর্ধমান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:১৮
Share: Save:

পূর্বাঞ্চল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচেই হেরে বিদায় নিল বর্ধমান। দলের কর্মকর্তাদের দাবি, ত্রিপুরাকে হালকা ভাবে নেওয়াতেই দলের এই ভরাডুবি। যদিও যথাযথ প্রশিক্ষণ বা কোচের অভাব ছিল বলে দলের একাংশেরই অভিযোগ। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারে বর্ধমান।

প্রতিবার এই প্রতিযোগিতায় অন্তত দিন কুড়ি আগে থেকে আবাসিক কোচিং ক্যাম্প করত বর্ধমান। এ বার অবশ্য পুজোর পরে মাত্র সাতদিনের জন্য ওই ক্যাম্প হয়। কোনও মতে কয়েকদিনের অনুশীলন সেরে ওই প্রতিযোগিতায় খেলতে মিজোরাম রওনা হয় বর্ধমান। কেন এত কম দিনের শিবির জানতে চাওয়া হলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস অফিসার সুরজিৎ নন্দী বলেন, “এ বার আমাদের আন্তঃকলেজ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। প্রতি বছর অগাস্টের প্রথম দিকে ওই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কিন্তু চলতি বছর তা হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর। ওই প্রতিযোগিতা থেকেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল দল গড়া হয়। ফলে দল গঠন হতে দেরি হয় এ বার। তাছাড়া আমাদের হাতে থাকা মোহনবাগান মাঠও সময়ে পাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই ক্যাম্প শুরু হতেও দেরি হয়েছে।”

দলের কর্মকর্তাদের একাংশের অভিযোগ, এ বার প্রায় কোচহীন অবস্থাতেই বর্ধমান মিজোরাম রওয়া দেয়। অথচ বর্ধমান শহরেই প্রায় বসে দিন কাটাচ্ছেন দুই এনআইএস ডিপ্লোমা পাওয়া কোচ-- রথীন ভট্টাচার্য ও সুবোধ চট্টোপাধ্যায়। বছর দুই আগে রথীনবাবুকে বর্ধমানে অনুষ্ঠিত পূর্বাঞ্চল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের আগে কোচ হিসেবে নিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁর কোচিংয়ে বর্ধমান প্রতিযোগিতায় খেতাবও জেতে। রথীনবাবুর ঝুলিতে অন্তত পাঁচবার সর্বভারতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে খেতাব জেতার সম্মান রয়েছে। সুবোধবাবুরও এ ধরনের কৃতিত্বের সংখ্যা কম নয়। তা সত্ত্বেও এঁদের বহাল না করে কেন প্রায় কোচ ছাড়াই প্রশিক্ষণ শিবির করল বিশ্ববিদ্যালয় সেই প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।

তবে স্পোর্টস আধিকারিকের দাবি, “ওঁরা অবসর নিয়েছেন। বারবার ওঁদের ফেরানো সম্ভব নয়। তবে এটা ঠিক ওই দুই কোচের অবসরের পরে আমাদের হাতে এনআইএস ডিপ্লোমা করা কোচ আর নেই। যে তিনজন এ বার নানা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, তাঁরা এনআইএস শংসাপত্র প্রাপ্ত কোচ। তাঁদের উপরই আমাদের নির্ভর করতে হয়েছে।”

খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবলের দুই কোচ ছাড়াও ক্রিকেটের ও অ্যাথলেটিক্সেরও কোনও কোচ নেই। অর্থাৎ মোট চারটি কোচের পদ শূন্য।

তাহলে নতুন এনআইএস পাশ করা কোচ নিযুক্ত হচ্ছেন না কেন? সুরজিৎবাবুর দাবি, “বারবার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।”

তাহলে অবসরপ্রাপ্ত কোচেদের কাউকে নিয়োগ করা হল না কেন? সুরজিৎবাবুর দাবি, রথীনবাবুকে মৌখিক ভাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ বলে কাজটা করতে পারেননি। আর সুবোধবাবুকে একবার নিয়ে আসায় প্রচুর বিতর্ক দেখা দেয়। তাই তিনি হয়তো আর ওই কাজ করতে চাইবেন না, ধরে নিয়েই তাঁকে আর বলা হয়নি।”

যদিও এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সুবোধবাবু বলেন, “আমি বারবার বলেছি, উপযুক্ত সম্মান দিয়ে ডাকা হলে কোচিং করাব। না হলে নয়।” রথীনবাবু কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বলেছেন, “আমি অসুস্থ? কই জানি না তো?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE