Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

ওয়াশিংটনের সঙ্গে জুটি নিয়ে আশাবাদী চহাল

গত বারের আইপিএলে যে সমস্যাটা দেখা দিয়েছিল আরসিবি বোলিংয়ের সময়। যেটা এ বার দেখা যাবে না বলেই মনে করেন চহাল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:৪৪
Share: Save:

শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতকে জেতানোর ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লে-তে ব্যাটসম্যানকে চাপে রেখেছিল তাঁর অফস্পিন। সেই ওয়াশিংটন সুন্দর আইপিএলে এ বার খেলবেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে। খেলবেন বিরাট কোহালির নেতৃত্বে। ওয়াশিংটনের মতো অফস্পিনার হাতে পাওয়ায় পাওয়ার প্লে-তে যে কোহালির হাতে বিকল্প বাড়বে, তা বলছিলেন আরসিবি-র অন্য এক স্পিনার। তিনি যুজবেন্দ্র চহাল।

আগামী রবিবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে নামবে কোহালির আরসিবি। তার আগে বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়ে গিয়েছে কোহালিদের অনুশীলন। মঙ্গলবার যেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চহাল বলেন, ‘‘ওয়াশিংটন সুন্দরকে পাওয়ায় আমাদের হাতে বিকল্প বেড়ে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কায় সুন্দর পাওয়ার প্লে-তে বল করছিল। আর আমি মাঝের ওভারগুলোয় বল করছিলাম। ফলে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না।’’

গত বারের আইপিএলে যে সমস্যাটা দেখা দিয়েছিল আরসিবি বোলিংয়ের সময়। যেটা এ বার দেখা যাবে না বলেই মনে করেন চহাল। ভারতীয় দলের লেগস্পিনার বলেছেন, ‘‘আগের আইপিএলে আমাকে পাওয়ার প্লে-তে দু’ওভার বল করতে হচ্ছিল। যার ফলে পরের দিকে হাতে থাকত মাত্র দু’ওভার। এ বার সুন্দর থাকায় আমাদের হাতে বিকল্প বেড়ে গিয়েছে। এক জন পাওয়ার প্লে-তে দু’ওভার বল করলে পরের দিকেও স্পিনারদের হাতে বেশ কয়েকটা ওভার থেকে যাবে।’’

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এখন রিস্ট স্পিনাররা (যাঁরা কব্জির মোচড়ে বল ঘোরান) ভাল বল করলেও মার খেয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই। কিন্তু চহাল মনে করছেন, মার খেলেও ফিরে আসার একটা রাস্তা সব সময় থাকে। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের ক্রিকেটে যে কোনও সময় ব্যাটসম্যানরা মেরে দিতে পারে। এই তো শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির খেলায় শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা আমার দু’ওভারে ২৭ রান নিয়েছিল। তখন নিজেকে বলেছিলাম, ওটা ভুলে গিয়ে উইকেট তোলার ওপর জোর দাও।’’

চিন্নাস্বামীতে বল করাটা অবশ্য স্পিনারদের কাছে যে বড় পরীক্ষা, তা স্বীকার করছেন চহাল। বলেছেন, ‘‘চিন্নাস্বামীতে বল করে এলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামলেও আত্মবিশ্বাসী থাকা যায়। এই মাঠের বাউন্ডারি ছোট হওয়ায় স্পিনাররা সব সময় চিন্তায় থাকে। কিন্তু আমি চিন্নাস্বামীতে বল করে এসেছি বলে বিশ্বের যে কোনও মাঠে বল করতে তৈরি থাকি। ভয় পাই না।’’

চহাল এর পরে যা বলছেন, তা স্পিনারদের জন্য আরও চিন্তার বিষয়। কোহালির টিমের অন্যতম সেরা অস্ত্র মনে করেন, এ বারের চিন্নাস্বামীর পিচ গত বারের চেয়েও পাটা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE