চাপেকোয়েনস গোলকিপার দানিলোর শেষ ছবি ফ্লাইটে ওঠার পর। ডানদিকে সঙ্গে সতীর্থ অ্যালান রাসেল। ছবি: সংগৃহীত।
জানা হল না। দেখা হল না। দেশের ফুটবলের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার হাতে ধরা হল না। তবুও মানুষের মনে থেকে যাবেন দানিলোরা।
চাপেকোয়েনস গোলের নিচে তাঁকে আর দেখা যাবে না। দেখা যাবে না তাঁর একাধিক সতীর্থদেরও। কিন্তু তাঁরা সকলেই বেঁচে আছেন ফুটবলপ্রেমীদের মনে। তাই হয়তো দেশের সেরা ফুটবলার বেছে নিতে ভোট পড়ল চাপেকোয়েনস গোলকিপার দানিলোর পক্ষেই। তিনি না থেকেও আরও একবার বেঁচে উঠলেন ব্রাজিলের সেরা ফুটবলার হিসেবে। তাঁকেই বেছে নিল পুরো ব্রাজিল।
চাপেকোয়েনসের পুরো দল নিয়ে ভেঙে পড়া প্লেন থেকে জীবিতই ভেঙে পড়া প্লেন থেকে বাইরে আনা হয়েছিল দানিলোকে। হাসপাতালে পৌঁছনোর পর স্ত্রীকে ফোনও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। সেই দানিলোকেই বেছে নেওয়া হল ‘ব্রাজিল প্লেয়ার অব দি ইয়ার’ হিসেবে। দানিলো শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন কোপা সুদামেরিকানার সেমিফাইনালে সান লোরেনজোর বিপক্ষে। তাঁর হাতেই আটকে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ। আর চাপেকোয়েনসের ফাইনালে পৌঁছনো। কিন্তু ফাইনাল খেলা হয়নি চাপেকোয়েনসের।
আরও খবর:- স্ত্রীকে ফোন করে ‘বেঁচে আছি’ বলার পরই সব শেষ
দানিলোর হয়ে তাঁর মা এই পুরস্কার নেন। দানিলোর মা এইডেস পাদিলহা পুরস্কার নিয়ে বলেন, ‘‘চাপেকোয়েনসের হয়ে এই পুরস্কার আমি নিলাম। আশা করব এর পর যারা খেলতে আসবে এই দলে তারা অতীতকে মনে রাখবে।’’ এর পরই সেই সাংবাদিকদের তিনি জড়িয়ে ধরেন যাঁদের সতীর্থদেরও সেই প্লেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। আনন্দের এই অনুষ্ঠানে সবার চোখে ছিল জল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy