চিলির সামনে আটকে গেল কলম্বিয়ার ফরোয়ার্ডরা। ছবি: ইউএসএ টুডে স্পোর্টস।
কলম্বিয়া ০
চিলি ২ (আরাঙ্গুইজ, ফুয়েনজালিদা)
গত বছরের স্মৃতি উসকে ফের কোপা ফাইনালে আর্জেন্তিনা বনাম চিলি। আর্জেন্তিনার সামনে বদলার ম্যাচ। চিলি চাইবে শিরোপা ধরে রাখতে।
বৃহস্পতিবার প্রথমার্ধের খেলা শেষ হতেই শিকাগোয় শুরু হয়ে গেল প্রবল ঝড়, বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাত। যার ফলে খেলা বন্ধ থাকল প্রায় দু’ঘণ্টা। তার পর যখন খেলা শুরু হল তখন মাঠ পুরো ভিজে। জল জমেছে ঘাসের নীচেও। যার ফলে মন্থর হয়ে গেল খেলার গতি। বল গড়াল খুব ধীর গতিতে।
ঠিক যেখানে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে খেলা শেষ করেছিল সেখান থেকেই সেমিফাইনাল শুরু করেছিল চিলি। প্রথমার্ধের ১১ মিনিটেই হয়ে গেল কোপার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের সিদ্ধান্ত। তার পরের বাকি সময়টা চলল কার্ড দেখার প্রতিযোগিতা। ৫৭ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন কলম্বিয়ার স্যাঞ্চেজ। দু’গোলে পিছিয়ে থেকে ১০ জনে হয়ে গিয়ে তাই আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি কলম্বিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে আর তেমন ভাবে খেলায় ফিরতে পারেনি চিলিও। শুধু দ্বিতীয়ার্ধেই মোট ছ’বার কার্ড বের করতে হল রেফারিকে। এর মধ্যে একটি লাল কার্ড,আর পাঁচটি হলুদ কার্ড। প্রথমার্ধে সেই তালিকাটা ছিল তিন জনের।
ম্যাচ শুরুর সাত মিনিটের মধ্যেই চিলিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন আরাঙ্গুয়েজ স্যান্দোভাল। চার মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোল করে ভীত আরও শক্ত করে নেয় তারা। যা আর ভাঙতে পারেননি হামেজ রডরিগেজরা। প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়িয়ে কলম্বিয়াকে জমিয়ে বসতেই দেয়নি চিলির ফরোয়ার্ডরা। যার ফলে পর পর গোল হজম করে ম্যাচ থেকেই হারিয়ে গেল কলম্বিয়া। কোপার ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হল দুই দল। শেষ দেখা হয়েছিল ১৯৮৭ তে। সেবারও ২-১ গোলে জিতেছিল চিলি।
শিকাগোর সোলজার ফিল্ডে এ দিনের যুদ্ধটা ছিল এক তরফাই। কোয়ার্টার ফাইনালের সেই কলম্বিয়াকে সেমিফাইনালে খুঁজেই পাওয়া গেল না। উল্টো দিকে চিলি ছিল স্বমহিমায়। ৮৭ মিনিটে অন্যায় ভাবে পেনাল্টি বাতিল না করলে ম্যাচের ফল ৩-০ হতে পারত। তার আগেই দুরন্ত সেভ করে তৃতীয় বারের পতন আটকেছে কলম্বিয়া গোলকিপার। ফাইনালে পৌঁছে চিলির সামনে এখন আর্জেন্তিনা বধের প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন:
এই মেসিকে শুধু শিল্পী বলা ভুল হবে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy