দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর প্রথম ম্যাচ নেদারল্যান্ডসে। চার দিনের ম্যাচ। সুদর্শন ছেলেটিকে মাঠের বাইরে বসে থাকতে দেখেন তিনি। পরে নেটে ছেলেটিকে বল করতে দেখে অবাক হয়ে যান, ওকে কেন প্রথম এগারোয় রাখা হয় না! ম্যানেজার বলেন, ওঁকে শুধু সীমিত ওভারে খেলানো হয়। পরের চার দিনের ম্যাচে ছেলেটিকে মাঠে নামান তিনি। আর সেই ম্যাচে আট উইকেট তুলে নেন রশিদ খান। আর তিনি, লালচাঁদ রাজপুত— তখন থেকেই আফগান ক্রিকেট কর্তাদের কাছে ভরসার লোক। এক বছরের মধ্যেই সেই ভরসার প্রতিদান পেল আফগানিস্তান। টেস্ট স্ট্যাটাস।
সে দিন রশিদকে যাঁর কথা বলে তাতিয়েছিলেন কোচ রাজপুত, তাঁর নাম অনিল কুম্বলে। শুক্রবার মুম্বই থেকে ফোনে আফগানদের ভারতীয় কোচ বলছিলেন, ‘‘ওকে বলেছিলাম, তুমি তোমার স্বাভাবিক বোলিংটা করে যাও। বেশি কিছু পরিবর্তন করার দরকার নেই। একেই তোমার বলের গতি যথেষ্ট। তার উপর গুগলিটাও ভাল দাও। অনিল কুম্বলেকে দেখো। ও জোরে লেগ স্পিন করে কত উইকেট পেয়েছে। তোমারও এটাই করা উচিত। তার পর ও নিয়মিত কুম্বলের বোলিংও দেখতে শুরু করে ইউটিউবে।’’
কিন্তু একটা রশিদ খান দিয়ে যে টেস্ট জেতা যাবে না, আরও তৈরি করতে হবে, তা জানেন রাজপুত। ২০০৭-এ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের কোচের এখন সবচেয়ে বড় কাজ তাঁর দলের ক্রিকেটারদের মানসিকতায় বদল আনা। ক্রিজে টিকে থেকে বড় ইনিংস খেলার মানসিকতা। কুড়ি উইকেট নেওয়ার মানসিকতা। বললেন, ‘‘ওরা সাধারণত আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে। ঝোড়ো ব্যাটিং করে প্রচুর রান করব। কিন্তু টেস্ট খেলতে গেলে যে সেই মানসিকতায় বদল আনা দরকার, এটাই ওদের মাথায় ঢোকাতে হবে আমাকে। এটাই এখন আমার চ্যালেঞ্জ।’’