ডামাডোলের ডার্বি হয়তো কল্যাণীতে

কলকাতা লিগের ডার্বি কবে হবে?

আদৌ কি হবে?

যদি হয় তবে কোথায় হবে?

ডার্বি নিয়ে ডামাডোল এই মুহূর্তে চরমে উঠেছে। এর মধ্যে আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো জাতীয় দলের জন্য ডাক পড়েছে ইস্টবেঙ্গলের পাঁচ ফুটবলারের। অর্ণব মণ্ডল, বিকাশ জাইরু, মহম্মদ রফিক, নারায়ণ দাস, কৌশিক সরকার ২৮ অগস্ট ভারতীয় দলের শিবিরে যোগ দিতে যাবেন মুম্বইয়ে। ৩ সেপ্টেম্বর আন্ধেরি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে পুয়ের্তো রিকোর বিরুদ্ধে ফিফা আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার কথা স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের ভারতের। অর্ণবরা ফিরবেন ৪ সেপ্টেম্বর। তাই ২৮ অগস্ট-৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি নয় ইস্টবেঙ্গল। এ দিকে জাতীয় দলের পর্ব মেটার পরেই শুরু হয়ে যাবে আইএসএল থ্রি। ফেডারেশনের চোখে এখন দেশের এক নম্বর ক্লাব টুর্নামেন্ট যেটা। অগস্টের প্রথম দিকেই আইএসএলের বিভিন্ন ফ্র্যা়ঞ্চাইজি টিমগুলোতে যোগ দেওয়ার কথা দুই প্রধানের চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের। স্বভাবতই ডার্বির দিন নিয়ে জটিলতা তীব্র আকার নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বুধবারও আশ্বস্ত করে বললেন, ‘‘আশা করছি বৃহস্পতিবারের মধ্যেই আমরা ডার্বির দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলতে পারব।’’ সূত্রের খবর, আইএসএলের টিমগুলোতে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ফুটবলাররা যাতে একটু দেরিতে যোগ দিতে পারেন, তার জন্য সংগঠক আইএমজি-আরকে অনুরোধ করা হবে আইএফএ-র তরফে। এ দিন আবার কল্যাণী স্টেডিয়ামের চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন আইএফএ সচিব। বহুক্ষণ আলোচনা হয়। পরে উৎপলবাবুর ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য, ‘‘বারাসতের তুলনায় কল্যাণী স্টেডিয়ামে বেশি লোক ধরে। প্রায় ষোলো হাজার সিট রয়েছে। বারাসতে বড় জোর সাত হাজার লোক ধরবে।’’