Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

দু’বছর পিছিয়ে যাক, চান কার্ল লুইস

আমার তো মনে হয়, ২০২২-য়ে টোকিয়োতেই অলিম্পিক্স করা যেতে পারে। শীতকালীন গেমসের ঠিক পরেই।

কিংবদন্তি অ্যাথলিট কার্ল লুইস।—ছবি রয়টার্স

কিংবদন্তি অ্যাথলিট কার্ল লুইস।—ছবি রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৩
Share: Save:

অতিমারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ গোটা বিশ্বেই ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ায় কিংবদন্তি অ্যাথলিট কার্ল লুইস চান, টোকিয়ো অলিম্পিক্স অন্তত দু’বছর পিছিয়ে দেওয়া হোক। একই দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার সংস্থা। লুইস তাঁদের দাবিকেই সমর্থন করেছেন।

কিংবদন্তি অ্যাথলিট এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে গেমসের জন্য কোনও অ্যাথলিটের পক্ষে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়। কী ভাবে ওরা নিজেদের উদ্বুদ্ধ করবে? আমাদের অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার সংস্থা যা বলছে তাকে পুরোপুরি সমর্থন করছি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘মনে রাখবেন এটা মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের ব্যাপার। যা কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। তা ছাড়া অলিম্পিক্সের ট্রায়ালই তো করা যাচ্ছে না! তাই আমি চাই গেমস দু’বছর পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবুক আইওসি। আমার তো মনে হয়, ২০২২-য়ে টোকিয়োতেই অলিম্পিক্স করা যেতে পারে। শীতকালীন গেমসের ঠিক পরেই। হতে পারে যাঁরা অবসরের মুখে দাঁড়িয়ে আছেন, দু’বছর পিছিয়ে দেওয়াটা তাঁদের জন্য খুব খারাপ খবর। কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনের থেকে বড় তো কিছু হতে পারে না।’’

লুইস যা-ই বলুন, করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই টোকিয়োর উত্তরে অবস্থিত শহর সেনদাইয়ে রবিবার অলিম্পিক্সের মশাল দেখতে হাজির হলেন হাজার-হাজার মানুষ। মশাল রাখা হয় সেনদাই স্টেশনে একটা বড় পাত্রে। স্থানীয় সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে, সেখানে মুখাবরণ পরা ৫৫ হাজার মানুষ হাজির হন। খুবই সুশৃঙ্খল ভাবে তাঁরা এক সারিতে দাঁড়িয়ে মশাল দেখেন। আয়োজকরা সেনদাইয়ে পৌঁছনো মশালকে বলছেন, ‘পুনঃপ্রাপ্তির আগুন’। সুনামিতে ছিন্নভিন্ন এই শহর নতুন করে সাজানো হয়েছে ন’বছর ধরে। সে কথা মনে করাতেই এমন নামকরণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Carl Lewis 2020 Tokyo Olympics
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE