বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের দ্বিতীয় মরসুমে পুরুষদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন অ্যাডামাস হাওড়া ওয়ারিয়র্স। মেয়েদের বিভাগে টানা দ্বিতীয় বার জয়ী লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্স।
শনিবার ইডেনে বিপিএল ফাইনালে প্রায় ১০ হাজার দর্শক হয়েছিল। লেজ়ার শো-এর মাধ্যমে দর্শকদের উত্তেজনা দ্বিগুণ হয়ে যায়। প্রয়াত দিলীপ দোশীর স্মরণে একটি ভিডিয়ো দেখানোর পরে শুরু হয় পুরুষদের ফাইনাল। কিন্তু ভাল মানের ক্রিকেট কি আদৌ উপহার দিতে পারল দু’টি দল?
পুরুষদের ফাইনালে মুখোমুখি হয় মুর্শিদাবাদ কিংস ও অ্যাডামাস হাওড়া ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫০ রান তোলে হাওড়া। একাধিক ক্যাচ ফেলেন মুর্শিদাবাদের ক্রিকেটারেরা। ২০ ওভারের মধ্যে পড়ে চারটি সহজ ক্যাচ। যা ফাইনালের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
১৫১ রান তাড়া করতে নেমে ৫ ওভারে এক উইকেটে ৪৪ রান তুলে দিয়েছিল মুর্শিদাবাদ। কিন্তু সক্ষম চৌধরি আউট হতেই মনোবল ভেঙে যায় মুর্শিদাবাদের। ৫৮ রানে চার উইকেট হারানোর পরে মুর্শিদাবাদকে ম্যাচে রেখেছিলেন তন্ময় প্রামাণিক। অগ্নিভ পান তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ২৩ বলে ১৮ রান করার পরে তুলে নেওয়া হয় অগ্নিভকে। নামানো হয় তৌফিকউদ্দিন চৌধুরীকে। বড় শট খেলার জন্যইময়দানে পরিচিত তৌফিক। কিন্তু প্রথম বলেই আউট হয়ে মুর্শিদাবাদকে আরও চাপে ফেলে দেন তরুণ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। এক ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে হাওড়ার জয় নিশ্চিত করেন সক্ষম শর্মা। শেষ ওভারে বাকি ছিল ২৩ রান। সক্ষম ১৩ রান দেন। হাওড়া জেতে ৯ রানে।
ম্যাচের সেরা সক্ষম বলছিলেন, ‘‘এই মুহূর্তের জন্যই অপেক্ষা করে ছিলাম। আমাদের দলের প্রত্যেকে বিপিএল ট্রফি হাতে তোলার জন্য মরিয়া ছিল।পরিশ্রমের ফল পেয়েছি।’’
অন্য দিকে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়েদের লিগে চ্যাম্পিয়ন লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্স। টস জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মালদা। ১৯.৫ ওভারে ১০৪ রানে অল আউট হয়ে যায় কলকাতা টাইগার্স। মিতা পাল সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫.২ ওভারে মালদার স্কোর যখন ২২/৪, প্রবল বৃষ্টি নামে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেয়েদের ফাইনালের বাকি ওভার আর শুরু করা যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংস পাঁচ ওভার খেলা হয়ে যাওয়ার ফলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জয়ী হয় কলকাতা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)