দলীপ ট্রফিতে পশ্চিমাঞ্চলকে নেতৃত্ব দেবেন না শ্রেয়স আয়ার। সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবে খেলতে চান। তাঁর পরিবর্তে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুম্বইয়েরই আর এক ক্রিকেটার শার্দূল ঠাকুরকে। এশিয়া কাপের দলে জায়গা না পেয়েই হতাশ শ্রেয়স নেতৃত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে মনে করছে ক্রিকেট মহলের একাংশ।
ভারতীয় দলে জায়গা না পাওয়ার পর মুম্বইয়ের নেতৃত্বও দেওয়া হয়নি শ্রেয়সকে। আগামী ঘরোয়া মরসুমে অজিঙ্ক রাহানে নেতৃত্ব দিতে চান না জানানোর পর মুম্বইয়ের অধিনায়ক করা হয়েছে শার্দূলকে। যদিও শ্রেয়স এবং সূর্যকুমার যাদবের এক জন পেতে পারেন বলে মনে করা হয়েছিল। পর পর বঞ্চনা সম্ভবত মেনে নিতে পারেননি ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটার। তাই দলীপ ট্রফিতে পশ্চিমাঞ্চলকেও নেতৃত্ব দিতে চান না তিনি।
একটা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পশ্চিমাঞ্চলের এক নির্বাচক বলেছেন, ‘‘শ্রেয়সকে নেতৃত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমাঞ্চলের নির্বাচকদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে শ্রেয়স। তার পর নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় পাটিল প্রস্তাব দেন শার্দূলকে। শার্দূল খুশি মনে নেতৃত্বের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।’’ উল্লেখ্য, পাটিল এখন মুম্বইয়েরও প্রধান নির্বাচক।
এশিয়া কাপে ভাল পারফরম্যান্সের লক্ষ্যে অনুশীলনে ডুবে ছিলেন শ্রেয়স। ব্যক্তিগত কোচ প্রবীণ আমরের কাছে সাদা বলে অনুশীলন করছিলেন। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার ইন্ডোরে অনুশীলন করেছেন শ্রেয়স। ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়াতেও অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছিল ৩০ বছরের ব্যাটারকে। সেই প্রস্তুতিও ধাক্কা খেয়েছে তাঁর।
এশিয়া কাপের দলে শ্রেয়স জায়গা না পাওয়ার বিতর্ক তৈরি হয়। তাঁকে না নেওয়ার কোনও ক্রিকেটীয় কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর। শ্রেয়স সুযোগ না পাওয়ায় মুখ খোলেন তাঁর বাবা সন্তোষ আয়ার। ছেলে বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ সন্তোষ অবিচারের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে শ্রেয়সকে ঢুকতে হলে আর কী করতে হবে সত্যিই জানি না। বছরের পর বছর ধরে আইপিএলে এত ভাল খেলছে। দিল্লি থেকে কলকাতা ঘুরে পঞ্জাবের হয়েও ফর্মে ছিল। তা-ও আবার অধিনায়ক হিসাবে। গত বছর কেকেআরকে আইপিএলও জিতিয়েছে। এ বার পঞ্জাবকে ফাইনালে তুলেছে। আমি বলছি না ওকে ভারতের অধিনায়ক করে দেওয়া হোক। অন্তত দলে তো নিতেই পারে।”
আরও পড়ুন:
শ্রেয়স অবশ্য এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়া বা মুম্বইয়ের নেতৃত্ব না পাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। দলীপ ট্রফিতে পশ্চিমাঞ্চলকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েই হয়ত নিজের হতাশা, ক্ষোভ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন।