ভারতীয় ক্রিকেটারেরা কি নির্বাচকদের ভয় পান? এরকমই মনে করছেন অজিঙ্ক রাহানে। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই ব্যাটারের মতে ঘরোয়া ক্রিকেটে নির্বাচকদের যে ভাবে নিয়োগ করা হয়, তা আমূল বদলে ফেলা উচিত।
মুম্বইয়ের এই ক্রিকেটারের পরামর্শ, শুধু মাত্র সম্প্রতি অবসর নেওয়া ক্রিকেটারদেরই ঘরোয়া ক্রিকেটে নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। রাহানের মতে, যেহেতু তাঁরা সদ্য অবসর নিয়েছেন, তাই ক্রমশ বদলাতে থাকা আধুনিক ক্রিকেটের চাহিদা সম্পর্কে তাঁরা অবহিত থাকবেন। ক্রিকেটাররাও আর নির্বাচকদের ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকবেন না। অর্থাৎ, নির্বাচকের ভূমিকাতেও বুড়োদের জায়গা নেই।
প্রাক্তন সতীর্থ চেতেশ্বর পূজারার ইউটিউব চ্যানেলে রাহানে বলেন, “ক্রিকেটারেরা নির্বাচকদের যেন ভয় না পায়। আমি নির্বাচকদের নিয়ে, বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটের নির্বাচকদের নিয়ে বলতে চাই, সম্প্রতি অবসর নেওয়া ক্রিকেটাদেরই দায়িত্ব দেওয়া হোক। মানে যারা পাঁচ-ছয় বা সাত-আট বছর আগে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছে। যে ভাবে ক্রিকেট দ্রুত বদলাচ্ছে, তাতে নির্বাচকেরাও যেন তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।”
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে রাহানে আরও বলেন, “২০-৩০ বছর আগে যে ভাবে খেলা হত, তার উপর ভিত্তি করে ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, এটা চাই না। এখন টি-টোয়ন্টি এবং আইপিএলের যুগ। আধুনিক ক্রিকেটারদের খেলার ধরন বুঝতে হবে।”
এখন ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা যে কেউ রাজ্য দলের নির্বাচক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে অবসর নেওয়ার পর অন্তত পাঁচ বছর তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে। গত অগস্টে অবসর নেওয়া পুজারা যদি নির্বাচক হতে চান, তাঁকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচকদের ক্ষেত্রেও অবসরের পর অপেক্ষা করার বাধ্যতামূলক নিয়ম আছে।
আরও পড়ুন:
পুজারা পুরোপুরি একমত হতে পারেননি রাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাহানের ভাবনাটি ভাল। কিন্তু আগের প্রজন্মের ক্রিকেটারদের নির্বাচকের ভূমিকায় ভাবাই হবে না, এটা ঠিক নয়।
তিনি রাহানেকে বলেন, “বড় রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে তোমার প্রস্তাব মানা যেতে পারে। কারণ, ওদের সামনে প্রচুর বিকল্প আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, দুর্দান্ত রেকর্ড থাকা কোনও ক্রিকেটার শুধু অনেক আগে অবসর নিয়েছে বলে নির্বাচক হতে পারবে না।”