বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র।
অ্যাশেজ় সিরিজ়ের শেষে প্রথা মেনে দু’দলের ক্রিকেটারদের একসঙ্গে মদ্যপানের আয়োজন করা হয়। গত সোমবার সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা। কেন প্রথা ভাঙলেন বেন স্টোকসেরা? জানিয়েছেন ইংরেজ জোরে বোলার অলি রবিনসন।
ওভালে শেষ টেস্ট জিতে ইংল্যান্ড সিরিজ় হার বাঁচিয়েছিল। স্টোকসদের মেজাজও ছিল ফুরফুরে। তা-ও তাঁরা প্রথা মেনে মদ্যপানের অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে রবিনসন বলেছেন, ‘‘সিরিজ় শেষ হওয়ার পরের কয়েক ঘণ্টা আমাদের দলের কাছে একটা বিশেষ সময় ছিল। আমরা একসঙ্গে নিজেদের মতো কাটাতে চেয়েছিলাম। স্টুয়ার্ট ব্রড এবং মইন আলির মতো দু’জন ক্রিকেটার শেষ টেস্ট খেলেছিল ওভালে। দলের সবাই চেয়েছিলাম ওদের বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখতে। ওদের সঙ্গেই আমরা বিদায় জানিয়েছিলাম দলের ফিজিয়ো স্টিভ গ্রিফিনকেও।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘অনেক স্মৃতি উঠে আসছিল সকলের কথায়। জেমস অ্যান্ডারসন দারুণ একটা বক্তব্য রেখেছিল ব্রডকে নিয়ে। তেমনই মইনকে নিয়ে দুর্দান্ত বলেছিল ক্রিস ওকস।’’
ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এবং অধিনায়ক স্টোকস চেয়েছিলেন, ওই সময় দলের সকলে একসঙ্গে থাকুক। পঞ্চম টেস্ট শেষ হওয়ার পর সাজঘরে ওই দু’ঘণ্টার অভিজ্ঞতা আজীবন মনে থাকবে বলে জানিয়েছেন রবিনসন। তিনি বলেছেন, ‘‘ওই দু’ঘণ্টা এমন একটা সময়, যেটা বছরের পর বছর ছেলেদের মনে থাকবে। এই অভিজ্ঞতা ভোলা যায় না।’’
রবিনসনের কথায়, তাঁরা ভেবেছিলেন ব্রড, মইনকে বিদায় জানানোর পর অস্ট্রেলীয়দের সঙ্গে মদ্যপান করতে যাবেন। তাঁদের আশা ছিল, প্যাট কামিন্সেরা তাঁদের জন্য একটু অপেক্ষা করবেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা অস্ট্রেলীয়দের সঙ্গে মদ্যপান করতে যাওয়ার আগেই ওরা চলে গিয়েছিল। তবে পরে ওদের কয়েক জন ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। তাই সব কিছু ভাল ভাবেই মিটেছে।’’
সেই অনুষ্ঠানে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন কামিন্সেরা। স্টোকসদের ডাকতেও গিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। কিন্তু তাঁরা আসেননি। পরে টুইট করে ইংল্যান্ডের না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন স্টোকস। তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, “আমাদের দলের দু’জনের শেষ ম্যাচ ছিল। তাই সাজঘরে আমাদের নিজেদের বেশ কিছু অনুষ্ঠান ছিল। সে সব মিটতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। তাই সাজঘরে নয়, আমরা ঠিক করেছিলাম নাইট ক্লাবে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে দেখা করব।”
অধিনায়কের সুরেই কথা বলেছেন রবিনসন। তাঁর মতে, এর মধ্যে বিতর্কের কিছু নেই। দুই সতীর্থের বিদায়বেলায় তাঁরা সকলে উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy