ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ়ে বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণ নেই। লর্ডসের পর ওভাল টেস্টের আগেও বল-বিতর্ক দেখা গেল। বল পরিবর্তনের যে নিয়ম তাতে খুশি নয় ভারত। তাদের অভিযোগ, বল বেছে নেওয়ার ব্যাপারে ইংল্যান্ডকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আইসিসি-র ম্যাচ রেফারির কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত।
লর্ডসে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস চলাকালীন দ্বিতীয় নতুন বলের আকার ১০ ওভারের পরেই বদলে গিয়েছিল। ভারতকে যে বল দেওয়া হয়েছিল তা ৩০-৩৫ ওভার পুরনো। নিয়ম অনুযায়ী, পরিবর্ত বল দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের বলে যত ওভার খেলা হয়েছে, তত ওভার পুরনো বলই দিতে হবে। তবে আম্পায়ারেরা বলেছিলেন, তাঁদের কাছে ১০ ওভার পুরনো কোনও বল নেই।
শক্ত বলের বদলে ভারত পায় নরম বল, যাতে সুইং বা সিম কিছুই ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসের রানের সুবাদে ইংল্যান্ড ম্যাচটাও ২২ রানে জেতে। দলের এক সূত্র ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সংবাদপত্রে বলেছেন, “লর্ডসে ১০ ওভারের পর বলের মাপ বদলে গিয়েছিল। এই সিরিজ়ে যা বার বার দেখা গিয়েছে। কিন্তু আম্পায়ারদের কাছে ১০ ওভার পুরনো বল না থাকায় আমাদের আরও পুরনো বলে খেলতে হয়েছে। স্কোরবোর্ড দেখলেই বুঝতে পারবেন কী ভাবে ওই ঘটনার পর থেকে ম্যাচটা বদলে গিয়েছে। বোলারেরা সুইং পায়নি। ইংল্যান্ড অনায়াসে রান করেছে।”
ভারতের দাবি, সঠিক পরিবর্ত পাওয়া না গেলে আসল বলটিতেই খেলার অনুমতি দেওয়া হোক। সে যতই তার আকার বদলাক না কেন। ওই সূত্র বলেছেন, “বল বদলানোর সময় বলা হয় না যে পরিবর্ত বল কতটা পুরনো। লর্ডসে আমাদের ৩০-৩৫ ওভার পুরনো বল দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বলল, আমরা ১০ ওভার পুরনো বলেই খেলতাম। আইসিসি-র উচিত হস্তক্ষেপ করা। এই নিয়ম বদলানো দরকার।”
লর্ডসে নতুন বলে জসপ্রীত বুমরাহ আউট করেছিলেন বেন স্টোকস, জো রুটকে। ফিরেছিলেন ক্রিস ওকস। কিন্তু বল বদলানোর পর জেমি স্মিথ এবং ব্রাইডন কার্স অনায়াসে খেলে দেন। শেষ পর্যন্ত ওই রানগুলিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।
ভারতীয় দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, প্রতিটি টেস্টের আগে বল বেছে নেওয়ার ব্যাপারে যে নিয়ম রয়েছে তাতে আইসিসি-র নজর দেওয়া উচিত। সাধারণত চতুর্থ আম্পায়ার থাকেন আয়োজক দেশের। টেস্টের আগে তিনিই বল নিয়ে দুই দলের সাজঘরে যান। সেখান থেকে দু’টি করে বল বেছে নিতে হয়। সেই সময় ম্যাচ রেফারি সঙ্গে থাকেন না। এরই সুবিধা নিচ্ছে ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন:
চলতি সিরিজ়ে একাধিক উদাহরণ রয়েছে ইংল্যান্ডকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার। চতুর্থ আম্পায়ার এমন বাক্স নিয়ে এসেছেন যেখানে গাঢ় লাল রঙের কেবল একটিই বল ছিল। বাকি বলগুলি হালকা লাল রঙের। গাঢ় লাল বলগুলি বেশি সুইং করে। ভারতীয়েরা সে রকম বল চাওয়ায় বলা হয়, ইংল্যান্ড সেই বল আগেই বেছে নিয়েছে।
ভারতের আরও দাবি, ম্যাচ রেফারি না থাকায় আয়োজক দেশ সহজেই নিজেদের ইচ্ছামতো বিষয়টি বদলে নিতে পারে। তাই ভারত চায়, সাজঘরের বদলে ভবিষ্যতে ম্যাচ রেফারির ঘরে গিয়ে বল বেছে নেওয়ার নিয়ম চালু হোক।