১২ বলে জিততে দরকার ছিল ১২ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। অর্ধশতরান করে খেলছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। সেখান থেকে হারল বাংলাদেশ। সাত বলে পড়ল ৫ উইকেট। তার মধ্যে শেষ ওভারের প্রথম চার বলে চার ব্যাটার আউট হলেন। আর ফিরতে পারল না বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে হারল তারা। এই ম্যাচ হেরে প্রথম দল হিসাবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড় থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ। কোনও রকমে টিকে রইল শ্রীলঙ্কা।
নবি মুম্বইয়ের মাঠে এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হল। শ্রীলঙ্কাকে জেতালেন অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। প্রথমে ব্যাট হাতে ৪৬ রান করলেন। পরে বল হাতে ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নিলেন ৪ উইকেট। শেষ ওভারে যখন ৬ বলে ৯ রান বাকি, তখন বল করতে আসেন চামারি। প্রথম চার বলে চারটি উইকেট পড়ে। তার মধ্যে একটি রান আউট। ফলে হ্যাটট্রিক হয়নি চামারির। তাঁর শেষ ওভার জিতিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কাকে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ২০২ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তাদের তিন ব্যাটার রান করেছেন। চামারি ছাড়া নজর কাড়লেন হাসিনি পেরেরা। ৮৫ রান করেন তিনি। নিকাশি ডি’সিলভা করেন ৩৭ রান। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, ২৫০ রানের বেশি করবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু হাসিনি আউট হয়ে যাওয়ায় রান তোলার গতি কমে যায়। ৩৪.২ ওভারে ১৮১ রানে ৭ উইকেট পড়ে শ্রীলঙ্কার। ফলে পুরো ৫০ ওভার খেলা কঠিন হয়ে পড়ে। নীচের সারির ব্যাটারেরা কোনও রকমে উইকেটে পড়ে থাকার চেষ্টা করছিলেন। ফলে পরের ১৪ ওভারে মাত্র ২১ রান করতে পারে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নজর কাড়েন শর্না আখতার। ১০ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি।
আরও পড়ুন:
২০৩ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও খুব ভাল হয়নি। উইকেট পড়ার পাশাপাশি রান তোলার গতিও কম ছিল। তিন নম্বরে নামা শারমিন আখতার জুটি বাঁধেন অধিনায়ক নিগারের সঙ্গে। সেই জুটি দলকে টেনে নিয়ে যায়। দু’জনের মধ্যে ১২২ রানের জুটি হয়। শারমিন অর্ধশতরান করেন। কিন্তু ৬৪ রানের মাথায় পায়ে ক্র্যাম্প ধরায় মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। শারমিন উঠে যাওয়ায় পুরো দায়িত্ব দিয়ে পড়ে নিগারের কাঁধে। তিনিও অর্ধশতরান করেন। কিন্তু কেই তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। পর পর উইকেট পড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ৭৭ রানের মাথায় আউট হন নিগার। শারমিন আর নামতে পারেননি। তিনি খেলতে না পারায় বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। জয়ের মুখ থেকে হারে তারা।