ম্যাচ শুরুর আগে তাঁকে অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কোচ। অধিনায়ক হতে চাননি বিরাট কোহলি। ভরসা রেখেছিলেন আয়ুষ বদোনীর উপরেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে কোহলি রান না পেলেও সেই বদোনীই দলকে বাঁচালেন। প্রথম ইনিংসে ৯৯ রান করেছেন তিনি। মাত্র ১ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। রান না পেলেও অবশ্য সংবর্ধনা পেয়েছেন কোহলি। ১০০ টেস্ট খেলার জন্য তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা।
ভারতের হয়ে ১০০টি টেস্ট খেলার জন্য কোহলির সংবর্ধনা দেয় দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। খেলা শেষে দেখা যায়, মাঠে নেমেছেন কোহলি। সঙ্গে ছিলেন দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি রোহন জেটলি ও অন্য আধিকারিকেরা। ছিলেন কোহলির ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মাও। কোহলিকে একটি স্মারক ও একটি উত্তরীয় দেওয়া হয়। তার পরে দলের বাকিদের সঙ্গে ছবি তোলেন ভারতীয় ব্যাটার।
ভারতের হয়ে ১২৩টি টেস্ট খেলেছেন কোহলি। দিল্লির ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছেন দেশের হয়ে। কোহলি ছাড়া দিল্লির আরও দু’জন ভারতের হয়ে ১০০-র বেশি টেস্ট খেলেছেন। পেসার ইশান্ত শর্মা ১০৫ ও ব্যাটার বীরেন্দ্র সহবাগ ১০৪টি ম্যাচ খেলেছেন।
১৩ বছর পরে রঞ্জি খেলতে নেমেও রান পাননি কোহলি। মাত্র ১৫ বল খেলেন তিনি। মারেন একটি চার। ৬ রান করে হিমাংশু সাঙ্গোয়ানের বলে ছিটকে যায় কোহলির অফস্টাম্প। বোঝা যাচ্ছে, তাঁর অফস্টাম্পের দুর্বলতা এখনও কমেনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই ঘরোয়া ক্রিকেটেও সেই সমস্যা প্রকাশ্যে। শেষ বার যখন কোহলি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন তখন দুই ইনিংসে ১৪ ও ৪৩ রান করেছিলেন তিনি। এ বার ফিরে দুই অঙ্কেই পৌঁছতে পারেননি তিনি। অবশ্য এখনও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেতে পারেন কোহলি। সেখানে তিনি রান পান কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন:
কোহলি রান না পেলেও বদোনী রান করেছেন। সুমিত মাধুরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। দ্রুত রান করছিলেন বদোনী। একের পর এক বড় শট খেলছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, সহজেই শতরান করবেন। কিন্তু ৭৭ বলে ৯৯ রান করে রেলওয়েজ়ের অধিনায়ক কর্ণ শর্মার বলে আউট হন বদোনী।
অধিনায়ক আউট হওয়ার পরে সুমিত জু়টি বাঁধেন নীচের সারির ব্যাটারদের সঙ্গে। দলের রান ৩০০ পার করেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের শেষে দিল্লির রান ৭ উইকেটে ৩৩৪। সুমিত ৭৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন। দিল্লি রেলওয়েজ়ের থেকে ৯৩ রানে এগিয়ে রয়েছে। এখন দেখার তৃতীয় দিন সুমিতও শতরান করতে পারেন কি না।