টান টান ম্যাচে শেষ বলে গুজরাত টাইটান্সের কাছে হেরেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই হারের দায় অনেকটাই হার্দিক পাণ্ড্যের। তাঁর দোষেই শেষ ওভারে চাপে পড়েছে মুম্বই। দলের হারের পাশাপাশি শাস্তিও পেতে হয়েছে মুম্বইয়ের অধিনায়ককে। সাজা পেয়েছেন প্রথম একাদশের বাকি ক্রিকেটারেরাও।
মুম্বই-গুজরাত ম্যাচ বৃষ্টির কারণে দু’বার বন্ধ হয়। শেষ বার যখন খেলা বন্ধ হয় তখন জিততে গুজরাতের দরকার ১২ বলে ২৪ রান। কিন্তু বৃষ্টিতে সময় নষ্ট হওয়ায় সেই লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ বলে ১৫ রান। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, রাত ১২.২৫ মিনিটের মধ্যে খেলা শেষ করতে হত। কিন্তু মাঠ শুকিয়ে যাওয়ার পরেও হার্দিকেরা খেলা শুরু করতে দেরি করেন। হার্দিক নিজে সাজঘরে বসেছিলেন। আম্পায়ার তাঁকে নীচে ডাকেন। তার পরে খেলা শুরু হয়।
হার্দিকেরা মাঠে নামতে দেরি করায় খেলা শুরু হতে দেরি হয়। রাত ১২.২৫ মিনিটের বদলে খেলা শুরু হয় রাত সাড়ে ১২টায়। দেরি করায় শাস্তি পায় মুম্বই। ফলে শেষ ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে পাঁচ জনের বদলে চার জন ফিল্ডার রাখতে পারে তারা। সেই ওভারের শুরুতেই চার মারেন রাহুল তেওতিয়া। যদি বাউন্ডারিতে পাঁচ জন ফিল্ডার থাকত তা হলে হয়তো চার আটকানো যেত। সে ক্ষেত্রে গুজরাতের জিততে সমস্যা হত।
আরও পড়ুন:
বৃষ্টিতে দ্বিতীয় বার খেলা বন্ধ হওয়ার সময় মুম্বই ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৪ রানে এগিয়ে ছিল। অর্থাৎ, আর খেলা না হলে মুম্বই জিতত। হার্দিক হয়তো ভাবছিলেন সময় নষ্ট করলে খেলা শুরু করার সময় পেরিয়ে যাবে। আর নামতে হবে না। সেই কারণেই কি ইচ্ছা করে দেরি করেন তিনি? তাতে অবশ্য লাভের বদলে লোকসান হয় মুম্বইয়ের।
খেলা শেষে মন্থর বোলিংয়ের জন্য হার্দিককে ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগেও এক বার জরিমানা হয়েছে তাঁর। দ্বিতীয় বার এই ভুল করলেন মুম্বইয়ের অধিনায়ক। প্রথম একাদশের বাকি ক্রিকেটারদেরও জরিমানা হয়েছে। তাঁদের ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ বা ৬ লক্ষ টাকা (যে ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ কম হবে) জরিমানা করা হয়েছে।