বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় ছিল আইপিএলের পঞ্জাব কিংস-দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ। পাকিস্তান ড্রোন হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় ম্যাচ চলাকালীন ব্ল্যাকআউট করে দিতে হয় স্টেডিয়াম। বন্ধ করে দিতে হয় খেলা। দু’দলের ক্রিকেটারদের দ্রুত মাঠ থেকে স্টেডিয়ামের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধর্মশালাতেই আটকে ছিলেন ক্রিকেটারেরা। ভারতীয় রেলের সাহায্য চেয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে দু’দলের সকলকে দ্রুত দিল্লি নিয়ে আসে রেল। এই সহযোগিতার জন্য ভারতীয় রেলকে ধন্যবাদ জানাল বিসিসিআই।
দু’দলের সকলকে ছাড়াও সম্প্রচারকারী সংস্থার কর্মী, ধারাভাষ্যকার, ম্যাচ অফিশিয়াল-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধর্মশালা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে ভারতীয় রেলের সাহায্য চেয়েছিল বিসিসিআই। পরিস্থিতি আঁচ করে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার পরও রেল কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বোর্ড কর্তারা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারতীয় রেলও। দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। সকলকে নিরাপদে দিল্লি নিয়ে আসে রেল। ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকারদের সেই রেল সফরের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে বিসিসিআই। সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করায় রেলের প্রশংসাও করা হয়েছে বোর্ডের তরফে।
বিসিসিআই সমাজমাধ্যমে লিখেছে, ‘‘অত্যন্ত অল্প সময়ে মধ্যে বিশেষ বন্দে ভারত ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য রেল মন্ত্রককে ধন্যবাদ। খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, আম্পায়ার, সম্প্রচারকারী সংস্থার কর্মী-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুত দিল্লি পৌঁছে দিয়েছে ভারতীয় রেল। এই পদক্ষেপ প্রশংসীয়।’’ দিল্লির স্পিনার কুলদীপ যাদব বলেছেন, ‘‘যে ভাবে দ্রুত সব ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেটা দুর্দান্ত। বিসিসিআই এবং ভারতীয় রেলকে ধন্যবাদ।’’
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবারের ম্যাচ ১০.১ ওভার খেলা হওয়ার পর বন্ধ করে দিতে হয়। সতর্কতার জন্য নিবিয়ে দিতে হয় স্টেডিয়ামের সব আলো। স্টেডিয়াম খালি করার জন্য সব গেট খুলে দেওয়া হয়। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল নিজে মাঠে নেমে সব কিছু তদারকি করেছিলেন।