আইপিএল জয়ের পর যে যেমন খুশি উৎসব করতে পারবে না। আগেও সতর্ক করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। নির্দেশিকা আনার কথাও বলা হয়েছিল। সেই নিয়েই এ বার বৈঠকে বসতে চলেছে বোর্ড। আগামী ১৪ জুন অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই নির্দেশিকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, আইপিএল জয়ের পর কী ভাবে উৎসব হবে এবং কী কী মেনে চলতে হবে, তাই নিয়ে একটি সুষ্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা হতে পারে। প্রতিটি দলকেই সেই নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম ভাঙলে শাস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। বোর্ড এই ঘটনার থেকে দূরত্ব রাখলেও বিষয়টি তাদের নজর এড়ায়নি। ভবিষ্যতে যাতে এমন না ঘটে তার জন্য এখন থেকেই সতর্ক তারা।
অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে নিউ জ়িল্যান্ডের ভারত সফর নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পরের বছরের শুরুতে এ দেশে তিনটি এক দিনের ম্যাচ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আসবে তারা। এ ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি চূড়ান্ত করা হতে পারে। ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের জন্য যে আচরণবিধি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হতে পারে। বয়স যাচাইয়ের যে প্রক্রিয়া রয়েছে তা সংশোধন করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএল জয়ের উৎসব করার কথা ছিল আরসিবি দলের। ৩৫ হাজারের স্টেডিয়ামে ঢোকার জন্য হাজির হয়েছিলেন আড়াই লক্ষ মানুষ। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। আহত হন বহু। তার পর থেকে কর্নাটক সরকার, আরসিবি এবং পুলিশের মধ্যে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়।
ওই ঘটনার পর এক সংবাদপত্রে বোর্ডের সচিব দেবজিৎ শইকীয়া বলেছিলেন, “চোখ খুলে দেওয়ার মতো ঘটনা। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করা দরকার সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রতি বছরই কেউ না কেউ জিতবে। প্রতি বছরই উৎসব হবে তাদের শহরে। তাই ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য শিক্ষা নিতে হবে। এই মুহূর্তে কোনও দলের উৎসবের সঙ্গে বোর্ডের কোনও যোগাযোগ নেই।”
আরও পড়ুন:
শইকীয়া উদাহরণ দিয়েছিলেন আইপিএল ফাইনাল আয়োজনের। বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন এক লক্ষ ৩২ হাজার দর্শক (আদতে ৯১ হাজারের কাছাকাছি)। নিরাপত্তা এবং দর্শকদের সামলানোর ব্যাপারে ছোটখাটো ঘটনাতেও আমরা নজর দিয়েছি। একটাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব নিয়ন্ত্রণে ছিল। বেঙ্গালুরুতে যা হয়েছে তাতে বোর্ডের কোনও ভূমিকা নেই।”
আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল জানিয়েছিলেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব কাদের ছিল সেটা তাঁরা জানেন না। ধুমলের কথায়, “গোটা ঘটনা আমরা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভবিষ্যতে এমন হওয়া চলবে না। ট্রফি নিয়ে শোভাযাত্রা বা বেঙ্গালুরুতে কোথায় উৎসব হবে, এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। কারা আয়োজন করেছে, কী ভাবে অত মানুষ এল ওখানে, পুরোটাই আমাদের অজানা।”