বেন স্টোকস। ছবি: রয়টার্স
চার বছর আগে এই হেডিংলেতেই অ্যাশেজে একার হাতে দলকে জিতিয়েছিলেন। এ বারও প্রথম ইনিংসে তাঁর ৮০ রানের অবদান অনস্বীকার্য। শেষ বেলায় হ্যারি ব্রুকের সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ়ে ব্যবধান কমালেও, ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসের মুখে অন্য এক সতীর্থের কথা। তিনি মার্ক উড। টেস্টে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নজির ভাঙার পরে উডকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন স্টোকস। পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে দিলেন, এখান থেকেও অ্যাশেজ জিততে পারেন।
এত দিন পর্যন্ত ধোনির অধীনে চার বার টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ২৫০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জয়ের নজির ছিল ভারতের। স্টোকসও একই জায়গায় ছিলেন। রবিবারের পর স্টোকস সবার উপরে চলে গেলেন। স্টোকসের অধীনে পাঁচ বারের মধ্যে চার বারই ইংল্যান্ড জিতেছে ওভারপ্রতি পাঁচের কাছাকাছি রান তুলে।
ম্যাচের পরে স্টোকসকে প্রশ্ন করা হয়, ইংল্যান্ড এই পরিস্থিতি থেকেও অ্যাশেজ জিততে পারবে কি? স্টোকসের সংক্ষিপ্ত এবং আত্মবিশ্বাসী উত্তর, “একদমই পারে। কোনও সন্দেহ নেই।”
এর পরেই উডের প্রশংসা স্টোকসের মুখে। কেন উডকে দু’টি টেস্টে বসিয়ে রাখা হয়েছিল, সে প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন। স্টোকস বলেন, “ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার বেগে বল করে এমন একজনের দলে থাকা কতটা সুবিধার সেটা বুঝতে পেরেছি। ব্যাট করার সময় উড অনেক খোলামনে খেলে। কোনও ব্যাখ্যা করা যায় না ওর ব্যাটিং দেখলে। আমার মতে, প্রথম ইনিংসে ওর আট বলে ২৪ রান ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছিল। ওর ব্যাট করার ধরন সব সময় কাজে আসে না ঠিকই। কিন্তু সাফল্য পাওয়ার সুযোগ সব সময় বেড়ে যায়।”
প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট করতে নেমে উড তিনটি ছক্কা মারেন। ইংল্যান্ড তখন অস্ট্রেলিয়ার থেকে প্রায় ১০০ রানে পিছিয়ে ছিল। উডের আগ্রাসী ব্যাটিং এবং তার পরে স্টোকসের খেলা ইংল্যান্ডের ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে দেয়। দিনের শেষে যা কাজে লেগেছে। কারণ লক্ষ্যমাত্রা বেশি হলে ইংল্যান্ডের পক্ষে এই ম্যাচ জেতা কঠিন হত।
হেডিংলেতে এই অ্যাশেজেও যে ভাবে খেলা হয়েছে তা দেখে মুগ্ধ স্টোকস। বলেছেন, “আবার একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ খেললাম। টসে জিতে ব্যাট করতেই পারতাম। কারণ উইকেট দেখে ভালই মনে হয়েছিল। পরে মিচেল মার্শের খেলা দেখে অনেকেই আমায় সেটা বলেছেন। কিন্তু উড এবং উকসির (ক্রিস ওকস) জন্যে আমরা বল হাতেও ভাল পারফরম্যান্স করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy