মৃত্যু হল বাংলার ক্রিকেটার প্রিয়জিৎ ঘোষের। মাত্র ২২ বছর বয়সেই শেষ হয়ে গেল এই উঠতি ক্রিকেটারের জীবন। শুক্রবার সকালে জিম করতে করতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিয়জিৎ। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তিনি। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রিয়জিৎ অসুস্থ হয়ে পড়তেই জিমের সতীর্থ ও প্রশিক্ষকেরা তাঁকে বীরভূমের মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
প্রিয়জিতের মৃত্যুর খবর বিশ্বাস করতে পারছেন না সিএবির আম্পায়ার প্রেমদীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, ‘‘কিছু দিন ধরে প্রিয়জিতের চেহারা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ঠিকমতো ট্রেনিং করতে পারত না। দৌড়ে ২ রান নিতে সমস্যা হত। ওর অসুস্থতার কথা বাড়িতে জানানো হয়েছিল। ওর বাবা-মা নিশ্চয়ই চিকিৎসা করিয়েছেন। এই বয়সের প্রতিভাবান ক্রিকেটারের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। শুধু ক্রিকেটার বলে নয়, এই বয়সের কারও মৃত্যুই মেনে নেওয়া যায় না।’’
বোলপুরের জামবুনির বাসিন্দা প্রিয়জিৎ ছ’বছর আগে সিএবি-র আন্তঃ জেলা অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন। ২০১৮-১৯ মরসুমের এই পারফরম্যান্সের জন্য সিএবি তাঁকে পুরস্কৃত করেছিল। প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির মতো সব সময় নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করতেন প্রিয়জিৎ।