Advertisement
E-Paper

সতীর্থদের কাঁধে চেপে ইডেন ছাড়লেন ঋদ্ধি, এ বার শুরু করতে চান দ্বিতীয় ইনিংস

কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ঋদ্ধিমান সাহা। ইডেনে খেলা শেষে সতীর্থদের কাঁধে চেপে মাঠ ছাড়লেন তিনি। এ বার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।

cricket

সতীর্থদের কাঁধে চেপে মাঠ ছাড়ছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ছবি: সিএবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৭
Share
Save

কেরিয়ারের শেষটা ভাল হল ঋদ্ধিমান সাহার। ইডেনে ইনিংস ও ১৩ রানে বাংলা হারাল পঞ্জাবকে। অর্থাৎ, জিতেই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন বাংলার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ইডেনে খেলা শেষে সতীর্থদের কাঁধে চেপে মাঠ ছাড়লেন তিনি। এ বার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চান ঋদ্ধি।

ইডেনে খেলা শেষে সতীর্থ অভিষেক পোড়েল ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক কাঁধে তুলে নেন ঋদ্ধিকে। এই ম্যাচে উইকেটরক্ষকের দস্তানাও পরেন ঋদ্ধি। সতীর্থদের কাঁধে চেপে ঋদ্ধির মুখে ছিল চওড়া হাসি। বাকি ক্রিকেটারেরা তাঁকে ঘিরে হাততালি দেন। শেষে সকলে মিলে ছবিও তোলেন।

ক্রিকেট জীবন শেষ। এ বার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চান ঋদ্ধি। খেলা শেষে তিনি বলেন, “সত্যিই অনেকটা পথ পেরোলাম। প্রত্যেকটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। যে দলের হয়ে খেলেছি নিজের সেরাটা দিয়েছি। অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমার এই যাত্রাপথে যারা পাশে থেকেছে প্রত্যেককে ধন্যবাদ। এ বার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পালা।”

ঋদ্ধির দায়বদ্ধতার প্রশংসা করেছেন বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। এক সময় তাঁরা একসঙ্গেই খেলেছেন। নিজের পুরনো সতীর্থের প্রশংসা শোনা গিয়েছে লক্ষ্মীর মুখে। তিনি বলেন, “ঋদ্ধি সমসময় দলের জন্য খেলেছে। তরুণদের সাহায্য করেছে। সবচেয়ে ভাল বিষয় হল, দেশের হয়ে খেলার মাঝেও ঋদ্ধি সময় বার করে বাংলার হয়ে খেলেছে। ওর দায়বদ্ধতা দেখে বাকিদের শেখা উচিত। কেরিয়ারের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত ও একই রকম থেকে গেল। ভবিষ্যতের জন্য ওকে শুভেচ্ছা।”

বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদারও দীর্ঘ দিন ঋদ্ধির সঙ্গে খেলেছেন। অনেক সময় কাটিয়েছেন। সেই সময়ের কথা জানিয়েছে অনুষ্টুপ। তিনি বলেন, “জুনিয়র ও সিনিয়র স্তরে আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। ভাল ব্যাটার হওয়ার পাশাপাশি উইকেটের পিছনেও ঋদ্ধি দুর্দান্ত। অসাধারণ সব ক্যাচ ধরেছে। ওর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।”

১৮ বছরের কেরিয়ারে ১২২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ঋদ্ধি। করেছেন ৬৪২৩ রান। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ২০৩। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩১৩টি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। করেছেন ৩৭টি স্টাম্প। দীর্ঘ দিন বাংলার রঞ্জি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড রয়েছে ঋদ্ধির। মাত্র ২০ বলে এই কীর্তি করেছিলেন তিনি। তবে এক কর্তার সঙ্গে বিবাদের জেরে ২০২২ সালে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা চলে যান ঋদ্ধি। দু’টি মরসুম সেখানে খেলার পরে আবার বাংলায় ফিরে আসেন তিনি।

বাংলার হয়ে ভাল খেলায় জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন ঋদ্ধিমান। ভারতের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ৯টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। টেস্টে ১৩৫৩ রান ও এক দিনের ক্রিকেটে ৪১ রান করেছেন তিনি। টেস্টে ৯২টি ক্যাচ ধরেছেন ঋদ্ধি। করেছেন ১২টি স্টাম্প। এক দিনের ক্রিকেটে ধরেছেন ১৭টি ক্যাচ। একটি স্টাম্প করেছেন। উইকেটের পিছনে তাঁর দুর্দান্ত রিফ্লেক্সের জন্য ঋদ্ধিমানতে সমর্থক ও বিশেষজ্ঞেরা ‘সুপারম্যান’ বলেও ডাকতেন। ২০২১ সালের পর থেকে আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। এ বার ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন শিলিগুড়ির পাপালি।

Wriddhiman Saha CAB Ranji Trophy 2024-25

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}