লক্ষ্য জানিয়ে দিলেন হরমনপ্রীত। ফাইল ছবি।
কমনওয়েলথ গেমসের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেননি হরমনপ্রীত কউররা। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়ার পরই ভারতীয় দলের অধিনায়কের মুখে সোনার পদকের কথা। সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা কৃতিত্ব দিলেন বোলারদের।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত হরমন। অন্য দলগুলিকে সতর্কও করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘কমনওয়েলথ গেমসে আমরা সোনা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এসেছি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের পারফরম্যান্স বেশ ইতিবাচক।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচেও যথেষ্ট ভাল খেলেছিলাম আমরা। যদিও অল্পের জন্য হারতে হয়েছিল। পাকিস্তান ম্যাচের গুরুত্বের কথা দলের সকলেই জানত। এই ছন্দটাই আমরা পরের ম্যাচগুলোতেও ধরে রাখতে চাই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলের খেলায় আমি খুশি।’’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই অফস্পিনার নিয়ে নামার কারণও জানিয়েছেন হরমনপ্রীত। বলেছেন, ‘‘স্নেহ রানা সবসময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভাল খেলে। সে জন্যই ওকে প্রথম একাদশে রাখা হয়েছিল। পাকিস্তানের কয়েক জন বাঁহাতি ব্যাটার রয়েছে। সে জন্যই দু’জন অফস্পিনার নিয়ে খেলেছি আমরা।’’ হরমন জানিয়েছেন, বার্মিংহ্যাম যাওয়ার আগে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির শিবিরে প্রস্তুতি এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের পরামর্শে তাঁদের উপকার হয়েছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মন্ধানার ইনিংস প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং থামানোর কোনও উপায়ই বের করতে পারেননি বিসমা মারুফরা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে জিতিয়ে খুশি ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক। যদিও তিনি মূল কৃতিত্ব দিয়েছেন বোলারদের। মন্ধানা বলেছেন, ‘‘আসল কাজটা বোলাররাই করেছে। পাকিস্তানকে ৯৯ রানে আটকে রেখেছিল। সেটাই আমার কাজ সহজ করে দেয়। ওভার প্রতি রান তোলার লক্ষ্য ছয়ের কম হলে আমরা ব্যাটাররা অনেক স্বস্তিতে থাকতে পারি। সে জন্যই সহজে শট নিতে পেরেছি।’’
মন্ধানা মেনে নিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় জরুরি ছিল। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন তিনি। মন্ধানা বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচ নিয়ে সাধারণ মানুষের আবেগ ক্রিকেটারদের থেকে কিছুটা বেশিই থাকে। এটাও একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বাকি সব ম্যাচের মতো এই ম্যাচও আমরা জেতার চেষ্টা করি। নীল জার্সিটা পরলে অন্য কিছু আর মাথা থাকে না। তখন একটাই লক্ষ্য, ভারতের জন্য জেতা।’’
কী ভাবে লক্ষ্য স্থির রাখেন উত্তেজনাপূর্ণ এই লড়াইয়ে? মন্ধানা বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বিরাট ব্যাপার। আমরা কিন্তু স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। নিজেদের প্রাথমিক কাজগুলো ঠিক ভাবে করার চেষ্টা করি। সামনে পাকিস্তান আছে না কোন দল আছে ভাবি না। তাতে কোনও বাড়তি সুবিধা হয় না।’’ নিজেদের খেলা ছাড়াও মন্ধানার আগ্রহ ভারতের মহিলা হকি দলকে নিয়ে। সময় এবং সুযোগ হলে মহিলা হকি দলের খেলা দেখতে যেতে চান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy