জসপ্রীত বুমরাহের বদলে সুযোগ পেয়ে নজর কেড়েছেন আকাশদীপ। এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও নতুন বলে জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন বাংলার পেসার। তার মধ্যে রয়েছে জো রুটের উইকেটও। তাঁর বলে বোল্ড হয়েছেন রুট। কিন্তু সেই বলটা কি নো-বল ছিল? আকাশের সেই বল নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ১১ নম্বর ওভারে বল করছিলেন আকাশ। একটা বল তিনি করেন ক্রিজ়ের একেবারে বাইরের দিক থেকে। ফলে বলের একটা কোণ তৈরি হয়। ফুল লেংথে বল করেছিলেন আকাশ। বল পিচে পড়ে হালকা বাইরের দিকে যায়। রুট ভেবেছিলেন বল ভিতরের দিকে আসবে। সে ভাবেই ব্যাট রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটের পাশ দিয়ে বল গিয়ে স্টাম্পে লাগে। ৬ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফেরেন রুট।
তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যালিসন মিচেল ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেন, “আকাশদীপ ক্রিজ়ের বাইরের দিকে গিয়ে বল করেছিল। ওর পিছনের পা রিটার্ন ক্রিজ়ের বাইরে ছিল। প্রায় দু’ইঞ্চি বাইরে ছিল। কিন্তু ক্রিকেটের নিয়ম হল পিছনের পা রিটার্ন ক্রিজ়ের ভিতরে পড়তে হবে। না হলে নো-বল হবে। আমার মনে হয় আম্পায়ার দেখতে ভুল করেছে।”
এমসিসি-র ২১.৫.১ ধারা অনুযায়ী, বল করার সময় কোনও বোলারের পা রিটার্ন ক্রিজ়ের মধ্যে পড়তে হবে। রিটার্ন ক্রিজ় ছুঁয়ে ফেললে তা নো-বল। ২১.৫.২ ধারা অনুযায়ী, সামনের পায়ের অন্তত সামান্য অংশ পপিং ক্রিজ়ের ভিতরে পড়তে হবে। যদি পুরো পা পপিং ক্রিজ়ের বাইরে পড়ে তা হলে নো-বল হবে।
আরও পড়ুন:
তবে এই নিয়মে বলা হয়েছে, পা প্রথম যেখানে পড়বে সেটা বিবেচনা করা হবে। বোলারের বল ক্রিজ়ের মধ্যে পড়ার পর অনেক সময় পিছলে ক্রিজ়ের বাইরে চলে যায়। সে ক্ষেত্রে নো বল হবে না। রিটার্ন ক্রিজ়ের ক্ষেত্রেও দেখা হবে, প্রথমে পা কোথায় পড়েছে।
রিপ্লে-তে দেখা গিয়েছে, আকাশের পায়ের সামনের অংশ রিটার্ন ক্রিজ়ের ভিতরে পড়েছে। তার পরে গোড়ালি রিটার্ন ক্রিজ়ের বাইরে গিয়েছে। তাই ক্রিকেটের নিয়মে সেটা কোনও ভাবেই নো নয়। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বিষয়টা বুঝিয়েও বলেন রবি শাস্ত্রী। অর্থাৎ, আকাশের বল কোনও ভাবেই নো নয়। ন্যায্য বলেই রুটকে আউট করেছেন বাংলার পেসার।