অ্যাথলেটিক্সের দুনিয়ায় নতুন সংজ্ঞা লিখেছেন তিনি। অনেকের কাছে তিনি প্রেরণা। কিন্তু ইউসেইন বোল্টকে অ্যাথলিট হিসেবে আরও উন্নত করেছে ক্রিকেট। প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা যেমন ক্রিকেট মাঠে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেন, তা দেখেই বোল্ট নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য উচ্চতায়।
শুক্রবার মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “আমি ক্রিকেটের অন্ধ ভক্ত। ছোট বেলা থেকে ক্রিকেট দেখে বড় হয়েছি। যে রকম ভাবে ক্রিকেটাররা মাঠে সেরাটা উজাড় করে দিতেন এবং সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেন তা ছোট বেলা থেকেই আমার মনে প্রেরণার সঞ্চার করেছিল। তার ফলেই আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করা শুরু করি।”
গতির রাজা, জামাইকার কিংবদন্তি অ্যাথলিট অলিম্পিক্সে মোট আট বার সোনা জিতেছেন। পাশাপাশি ১১ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে শীর্ষে শেষ করেছেন। বিশ্বরেকর্ডের অন্য নাম হয়ে উঠেছেন। মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ডে শেষ করা ১০০ মিটার দৌড়ের কথা এখনও ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। সেই নজির এখনও অক্ষত।
প্রসঙ্গত ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের স্বর্ণযুগে জামাইকা থেকেও অনেক প্রতিভা উঠে এসেছে। যারা বিশ্বকে দাপটে শাসন করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাইকেল হোল্ডিং, কোর্টনি ওয়ালশ, জেফ দুজোঁ, ক্রিস গেলের মতো মহাতারকারা। তাঁদের ছায়াই বোল্টকে আরও উন্নত করে তুলেছে।শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পাওয়ার নেপথ্যের রহস্য কী? জামাইকার কিংবদন্তির কথায়, “যে কোনও খেলায় সাফল্যের নেপথ্যেই পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমি ছোট বেলা থেকেই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ভালবাসতাম। দৌড়বাজ হওয়ার স্বপ্নেই বড় হয়েছি। তাই কঠোর পরিশ্রম করার জন্য কোনও দিন পিছু হটিনি।” তাঁর সংযোজন, “ছোটবেলা থেকেই বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। তাই চোট-আঘাত উপেক্ষা করেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। আত্মত্যাগ করতে দু’বার ভাবিনি।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)