আইপিএল থেকে বিদায়ের জন্য মুকেশকেই দায়ী করলেন দিল্লির কোচ, শাস্তি বাংলার পেসারের

আরও একটি আইপিএলে ব্যর্থ দিল্লি ক্যাপিটালস। কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, অধিনায়ক থেকে শুরু করে দলে প্রচুর বদল করেও ভাগ্য বদলায়নি তাদের। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শেষ দু’ওভারে দিল্লি দিয়েছে ৪৮ রান। তার শুরুটা হয়েছে মুকেশ কুমারের ওভার দিয়ে। সেই দু’টি ওভারই খেলার ভাগ্য বদলে দিয়েছে বলে মনে করেন দিল্লির কোচ হেমঙ্গ বাদানি। মুকেশকে দায়ী করেছেন তিনি। পাশাপাশি শাস্তিও পেয়েছেন বাংলার পেসার।

খেলা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বাদানি দলের হারের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। আর সেটা করতে গিয়েই মুকেশকে দায়ী করেছেন তিনি। বাদানি বলেন, “১৮ ওভার পর্যন্ত খেলার রাশ আমাদের হাতে ছিল। শেষ দু’ওভারে সেটা বদলে গিয়েছে। আমরা ৪৮ রান দিয়েছি। আইপিএলে ৩০ বলে ৫০-৬০ রান হয়। তবে ১২ বলে ৪৮ রান খুব বেশি। ওই দুটো ওভার আমাদের খেলা থেকে বার করে দিয়েছে।”

এই ম্যাচে টি নটরাজনের বদলে খেলানো হয়েছিল মুকেশকে। শুরুটা ভাল করেছিলেন তিনি। প্রথম তিন ওভারে দু’টি্ উইকেটও নিয়েছেন। প্রথম তিন ওভারে ২১ রান দিয়েছিলেন মুকেশ। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে তিনি দেন ২৭ রান। সেটাই খেলার গতি বদলে দেয়। বাদানি বলেন, “আমরা বুঝতে পারছিলাম পিচ মন্থর। সেখানে গতির হেরফের করতে হত। মুকেশের মতো আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থাকা বোলার সেটা বুঝতে পারল না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই ভুল করলে সূর্যের মতো ব্যাটার তো সেটা কাজে লাগাবেই। ওটাই কাল হল।”

খারাপ বল করার পাশাপাশি শাস্তিও পেয়েছেন মুকেশ। তাঁর ম্যাচ ফি-র ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। খারাপ বল করার পর বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে একটি তোয়ালে রাগের মাথায় ছুড়ে ফেলেন তিনি। সেই কারণে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। নিজের দোষ স্বীকার করেছেন মুকেশ।

এ বারের আইপিএলে ভাল বল করতে পারেননি মুকেশ। দিল্লির হয়ে ১১টি ম্যাচে মাত্র ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর বোলিং গড় ৩২.৬৪। ওভার প্রতি ১০.১১ রান দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, প্রতি ওভারে ১০ রানের বেশি দিয়েছেন বাংলার পেসার। তাতে সমস্যা হয়েছে দিল্লির। এ বার বিদায়ের দায়ও তাঁর ঘাড়েই চাপিয়েছেন দলের কোচ।