খরা কাটিয়ে প্রথম বার দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তাঁরা। তবু খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হল না হরমনপ্রীত কৌর এবং স্মৃতি মন্ধানাকে। দু’জনের নাম নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে কাউকেই মনোনীত করা হয়নি। বস্তুত, এ বছর নাকি কোনও ক্রীড়াবিদই দেশের খেলাধুলোর সর্বোচ্চ সম্মান খেলরত্ন পাচ্ছেন না। অর্জুন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে ২৪ জনের নাম।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র খবর অনুযায়ী, খেলরত্নের জন্য কমপাউন্ড তিরন্দাজ জ্যোতি সুরেখা ভেন্নাম এবং হরমনপ্রীত ও স্মৃতির নাম নিয়ে অনেক ক্ষণ আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নাম মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করেনি গগন নারাং, অপর্ণা পোপাট ও এমএম সোমায়ার কমিটি।
ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের জন্য কোনও নির্দিষ্ট পয়েন্ট সিস্টেম না থাকার কারণেই দু’জনের নাম বাদ পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বোর্ডের এক সূত্র বলেছেন, “এ ধরনের ঘটনায় বিসিসিআইয়ের প্রস্তাবের উপর নির্ভর করে কমিটি। তবে এ বার বিসিসিআই সভাপতি বা সচিব কেউই কোনও পুরুষ বা মহিলা ক্রিকেটারের নাম কোনও জাতীয় পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেননি।”
অর্থাৎ, বোর্ডের তরফ থেকেই কোনও নাম কমিটির কাছে পাঠানো হয়নি। তবু হরমনপ্রীত এবং স্মৃতিকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেকেই বোর্ডকে দুষেছেন এই কাজের জন্য। তাঁদের প্রশ্ন, যে মহিলা ক্রিকেটারেরা দেশকে প্রথম বার বিশ্বকাপ এনে দিলেন তাঁদের বঞ্চিত করা হল কেন? উল্লেখ্য, শেষ ক্রিকেটার হিসাবে খেলরত্ন সম্মান পেয়েছিলেন মহম্মদ শামি (২০২৩)।
১৯৯১-৯২ সালের পর এই নিয়ে তৃতীয় বার কেউ খেলরত্ন সম্মান পাচ্ছেন না। এর আগে এমনটা হয়েছিল ২০০৮ এবং ২০১৪-য়। খেলরত্ন বিজয়ীদের নগদ ২৫ লক্ষ টাকা, একটি পদক এবং শংসাপত্র তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন:
বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, হকির হার্দিক সিংহের নাম খেলরত্নের জন্য মনোনীত হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে তা বাদ পড়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
অর্জুন পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা
তেজস্বীন শঙ্কর, মহম্মদ আফসল, প্রিয়াঙ্কা (অ্যাথলেটিক্স), নরেন্দ্র (বক্সিং), বিদিত গুজরাতি, দিব্যা দেশমুখ (দাবা), ধনুশ শ্রীকান্ত (বধিরদের শুটিং), প্রণতি নায়ক (জিমন্যাস্টিক্স), রাজকুমার পাল, লালরেমসিয়ামি (হকি), সুরজিৎ, পূজা (কবাডি), নির্মলা ভাটি (খো খো), রুদ্রাংশ খান্ডেলওয়াল (প্যারা-শুটিং), একতা ভায়ান (প্যারা-অ্যাথলেটিক্স), পদ্মনাভ সিংহ (পোলো), অরবিন্দ সিংহ (রোয়িং), সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় (টেবিল টেনিস), সোনম মালিক (কুস্তি), আরতি পাল (যোগাসন), ত্রিসা জলি, গায়ত্রী গোপীচন্দ (ব্যাডমিন্টন)।