—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই উঠে এল অব্যবস্থার ছবি। বিমানে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গেই তুলে দেওয়া হল গত বারের বিশ্বজয়ীদের। কার্যত ‘বাদুড় ঝোলা’ বিমানে সফর করতে হল তাঁদের। ভারতের মাটিতে পা দেওয়ার পরেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন জনি বেয়ারস্টো।
ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য গুয়াহাটি যেতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। বিশ্বকাপ খেলতে আসা একটি দলের জন্য যে রকম ব্যবস্থা থাকা উচিত, তা করা হয়নি। সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গেই জস বাটলারদের তুলে দেওয়া হয় বিমানে। ইকোনমি শ্রেণির আসনের টিকিট দেওয়া হয় তাঁদের। এক টানা প্রায় ৩৮ ঘণ্টা বিমানযাত্রার পর গুয়াহাটি পৌঁছেছে ইংল্যান্ড। শেষ ২ ঘণ্টার বিমানযাত্রা শুরুর আগেই বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘অসম্ভব চিৎকার। যাত্রার শেষ দফা এখনও বাকি। ৩৮ ঘণ্টার পরেও যাত্রা চলছে।’’
তাঁর ভাগ করে নেওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ যাত্রীদের মাঝেই প্রায় গুটিয়ে বসে রয়েছেন ক্লান্ত বাটলারেরা। তাঁদের চার দিকে সাধারণ মানুষের ভিড়। সেই ভিড় অবশ্য তাঁদের জন্য নয়। বিমানে ওঠার সময় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কোলাহল। গত বারের বিশ্বজয়ীদের এই অবস্থা দেখে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তার মধ্যে অন্যতম ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা। ভিড়ের ধাক্কাধাক্কিতেও চোট পেতে পারেন ক্রিকেটারেরা।
বিশ্বকাপ এখনও শুরু হয়নি। চলছে প্রস্তুতি ম্যাচ। সব সূচিই অনেক আগে থেকে চূড়ান্ত হয়ে রয়েছে। তবু কেন এই পরিস্থিতি — এই প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। ইংল্যান্ডে দলের বিমানযাত্রার ছবি আয়োজকদের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy