৪২ বছর বয়সে প্রথম বার পেশাদার ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবেন জেমস অ্যান্ডারসন। গত বছর জুলাইয়ে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা অ্যান্ডারসন এখনও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছেন। তাঁকে এ বার দেখা যাবে কাউন্টি দল ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়ক হিসাবে।
ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়ক মার্কাস হ্যারিস। তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছেন হ্যারিস। তাই ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে পরের দু’টি ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে ল্যাঙ্কাশায়ার কর্তৃপক্ষ নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন জোরে বোলারের হাতে। কেন্ট এবং ডার্বিশায়ারের বিরুদ্ধে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। পেশাদার ক্রিকেটে এই প্রথম বার অধিনায়ক হিসাবে মাঠে নামবেন অ্যান্ডারসন।
ল্যাঙ্কাশায়ারের অন্তর্বর্তিকালীন প্রধান কোচ স্টিভন ক্রফট বলেছেন, ‘‘অ্যান্ডারসন আমাদের দলকে নেতৃত্ব দেবে। আমরা খুব উত্তেজিত। ও নিজেও দারুণ উৎসাহিত। এর আগে অ্যান্ডারসন এক বার নেতৃত্ব দিয়েছিল। সেটা ছিল দুবাইয়ে প্রাক্-মরসুম সফরের একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই প্রথম কোনও সরকারি ম্যাচে নেতৃত্ব দেবে অ্যান্ডারসন। এটা ওর জন্য দারুণ একটা ব্যাপার। দলের বাকিদেরও নতুন অভিজ্ঞতা হবে। মুহূর্তটা ওর জন্যও গর্বের।’’
এই নিয়ে চলতি মরসুমে তিন জন ল্যাঙ্কাশায়ারকে নেতৃত্ব দেবেন। প্রথমে অধিনায়ক করা হয়েছিল কেটন জেনিংসকে। লাল বলের ক্রিকেটে একের পর এক ব্যর্থতায় তাঁকে সরিয়ে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় হ্যারিসকে। এ বার তাঁর অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক করা হল অ্যান্ডারসনকে। লাল বলের ক্রিকেটে ব্যর্থতার জন্য সরিয়ে দেওয়া হয় হেড কোচ ডেল বেনকেনস্টেইনকেও।
ক্রিকেটজীবনের শেষ প্রান্তে চলে আসা অ্যান্ডারসন আরও ক্রিকেট খেলতে চান। সেই লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের ড্রাফটেও নিজের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। গত আইপিএলের নিলামেও নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। যদিও দল পাননি তিনি। এ বার থেকে ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়োজিত ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ়ের জয়ী দলকে তাঁর এবং সচিন তেন্ডুলকরের নামাঙ্কিত ট্রফি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।