মার্ক উড জানিয়েছেন ভারতের বিরুদ্ধে অন্তত পঞ্চম টেস্ট খেলার চেষ্টা করবেন। ইংল্যান্ডের আরও এক জোরে বোলার শুভমন গিলদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়েই মাঠে ফিরতে চান। চার বছর পর টেস্ট খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছে জফ্রা আর্চার।
ইংল্যান্ডের হয়ে ১৩টি টেস্ট খেলেছেন আর্চার। শেষ খেলেছেন ২০২১ সালে ভারতের বিরুদ্ধেই। সেই ভারতের বিরুদ্ধেই আবার লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চান আর্চার। সাসেক্সের হয়েও ২০২১ সালের পর লাল বলের ক্রিকেট খেলেননি তিনি। একের পর এক চোটে ভুগেছেন ইংল্যান্ডের জোরে বোলার। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড দলে ফিরেছিলেন। তার পর আবার চোট পেয়েছেন আইপিএলে। আপাতত তিনি ফিট। ডারহ্যামের বিরুদ্ধে কাউন্টি ম্যাচের জন্য সাসেক্স দলে রেখেছে আর্চারকে।
ইংল্যান্ডের অন্যতম নির্বাচক লুক রাইট আগেই বলেছিলেন, আর্চার সাসেক্সের হয়ে খেলতে পারলে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দলে রাখা হতে পারে। অধিনায়ক বেন স্টোকসও বলেছিলেন, টেস্ট খেলার জন্য মরিয়া আর্চার। নিজের ইচ্ছার কথা স্টোকসকে জানিয়েছেন আর্চার। তবে ডারহ্যামের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্স দেখেই তাঁকে টেস্ট দলে ফেরানো হবে।
চোটের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে উড ছাড়াও ইংল্যান্ড পাচ্ছে না গাস অ্যাটকিনসনকে। আর্চার খেলতে পারলে ইংরেজেরা লাভবানই হবে। স্টোকস বলেছেন, ‘‘আর্চার এখন খেলার মতো জায়গায় আছে। ফর্মেও আছে। যদিও সেটা সাদা বলের ক্রিকেটে। আশা করছি দ্বিতীয় টেস্টে ওকে পাওয়া যাবে। তবে তাড়াহুড়ো করলে হবে না। ও চোট-আঘাতে বড্ড ভোগে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আর্চারকে পেলে ইংল্যান্ডের জন্য দারুণ হবে। তার থেকেও ভাল হলে ওর নিজের জন্য। আমরা অন্য রকম ভাবে পরিকল্পনা করতে পারব। আশা করছি কাউন্টি ম্যাচে এমন কিছু করে দেখাবে, যার ভিত্তিতে ওকে টেস্ট দলে নেওয়া যাবে।’’
ইংল্যান্ড শিবির চাইছে আর্চারকে। আর্চারও চাইছেন টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে। দু’পক্ষের আশা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা বোঝা যাবে সাসেক্স-ডারহ্যাম ম্যাচের পর। সব ঠিক থাকলে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে দেখা যেতে পারে ৩০ বছরের ক্রিকেটারকে।