আইপিএলে মঙ্গলবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে খেলবে দিল্লি। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে নজর থাকবে দু’জনের দিকে। কেএল রাহুল এবং সঞ্জীব গোয়েন্কা। প্রথম জন দিল্লির ক্রিকেটার। দ্বিতীয় জন লখনউয়ের মালিক। গত বছর তাঁদের বিবাদের কথা কেউ ভুলে যাননি। দল বদলে লখনউ থেকে এখন দিল্লিতে রাহুল। পুরনো দলের বিরুদ্ধে তিনি জ্বলে উঠতে পারেন কি না সে দিকে নজর থাকবে।
এ বারের আইপিএলে দ্বিতীয় বার মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি-লখনউ। প্রথম পর্বে রাহুল খেলেননি। সন্তানের জন্মের কারণে ছুটি নিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় পর্বে তাঁর খেলা নিশ্চিত। দলের সঙ্গে লখনউয়ে অনুশীলনও করেছেন।
মঙ্গলবার যেখানে খেলা হবে, সেই একানা স্টেডিয়াম রাহুলের হাতের তালুর মতো চেনা। গত তিন বছর এই লখনউয়েরই অধিনায়ক ছিলেন তিনি। কে জানত, মরসুমের শেষের দিকে দলের মালিকের থেকেই অপমানিত হতে হবে। হায়দরাবাদের কাছে হারের পর মাঠে নেমে এসে প্রকাশ্যে যে ভাবে হাত নাড়িয়ে রাহুলকে বকাঝকা করেছিলেন গোয়েন্কা, তা কারও নজর এড়ায়নি।
ওই ঘটনার পর দু’পক্ষই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। তবে দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। মহানিলামের আগে রাহুল লখনউ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই তা আরও স্পষ্ট হয়। দল বদলে রাহুল এখন দিল্লিতে। লখনউয়ে থাকাকালীন যে প্রচার পেতেন, তা দিল্লিতে পান না। নিজেই নেতৃত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। বোঝাহীন রাহুলের ব্যাট থেকে দায়িত্বশীল ইনিংসও দেখা যাচ্ছে।
ছয় ম্যাচে ইতিমধ্যেই ২৬৬ রান করে ফেলেছেন রাহুল। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অপরাজিত ৯৩ রান তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। পুরনো দলের বিরুদ্ধে নিশ্চিত ভাবেই নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুন:
সাত ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বসে রয়েছে দিল্লি। লখনউ একটি ম্যাচ বেশি খেলে একই পয়েন্টে রয়েছে। তারা পাঁচে। দিল্লি এই ম্যাচ জিতলে প্লে-অফের দিকে এক পা বাড়িয়ে রাখবে।
এই ম্যাচে লখনউয়ের চোট-আঘাত নেই কারও। মায়াঙ্ক যাদব ফেরেন কি না সেটাই দেখার। সে ক্ষেত্রে প্রিন্স যাদবকে বসানো হবে। দিল্লি পাবে না ফাফ ডুপ্লেসিকে। তবে লখনউয়ে আগে খেলার কারণে এই ম্যাচে দিল্লি দুষ্মন্ত চামিরাকে খেলাতে পারে।