নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভাল বল করেছেন মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজ়। তাঁদের প্রশংসা এসেছে পাকিস্তান থেকেও। —ফাইল চিত্র
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়েছেন ভারতীয় পেসাররা। বিশেষ করে মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজ়ের বল খেলতে সমস্যায় পড়েছেন কিউয়ি ব্যাটাররা। শামি, সিরাজ়ের প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়া। তাঁর মতে, বিশ্বের সেরা ব্যাটাররাও ভারতীয় পেস জুটিকে সামলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তেন।
একটি সাক্ষাৎকারে কানেরিয়া বলেছেন, ‘‘সিরাজ় খুব ভাল ছন্দে রয়েছে। বিশেষ করে নতুন বলে ওকে খেলা খুব কঠিন। শামির সঙ্গে ওর জুটি নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলেছে। প্রথম থেকেই পিছিয়ে পড়েছে ব্যাটাররা। শুধু ওরা কেন, বিশ্বের সেরা ব্যাটাররাও শামি, সিরাজ়ের বল খেলতে সমস্যায় পড়বে।’’
রায়পুরের উইকেটে শুরুতে পেসারদের জন্য সাহায্য ছিল। বল সুইং করছিল। সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন কানেরিয়া। কিন্তু তার পরেও তাঁর যুক্তি, পিচের সাহায্য কাজে লাগানোর দক্ষতা সব বোলারের থাকে না। তিনি বলেছেন, ‘‘পিচে কিছুটা আর্দ্রতা ছিল। ফলে পেসাররা সাহায্য পাচ্ছিল। কিন্তু নিউ জ়িল্যান্ডের পিচও তো তেমনই। সেখানে খেলেই ওরা অভ্যস্ত। তার পরেও ভারতীয় বোলারদের সামনে ওরা দাঁড়াতে পারেনি। তার কারণ, শামিরা ঠিক জায়গায় বল ফেলছিল।’’
লাইন-লেংথের জন্যই শামি, সিরাজ়রা এতটা সফল বলে মনে করেন কানেরিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘পেসারদের আসল অস্ত্র হল লাইন-লেংথ। কোথায় বল রাখলে ব্যাটারদের খেলতে সমস্যা হবে সেটা শামিরা খুব ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। নিউ জ়িল্যান্ডের বোলাররা সেটা করতে পারেনি।’’
শামি, সিরাজ়ের দাপটে পাওয়ার প্লে-তেই একের পর এক উইকেট পড়ছিল নিউ জ়িল্যান্ডের। ফলে মাত্র ১৫ রানেই অর্ধেক দল সাজঘরে চলে যায়। কোনও রকমে ১০৮ রান করে তারা। সেই রান তুলতে অবশ্য কোনও সমস্যায় পড়েনি ভারত। ম্যাচে ৬ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শামি। ৬ ওভারে ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সিরাজ়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৯৯ উইকেটের মালিক হয়েছেন শামি। আর ১টি উইকেট নিলেই ৪০০ উইকেটের নজির গড়বেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy