এখনও দু’বছর চুক্তি বাকি আছে তাঁর। পদ নিয়েও খুব একটা অনিশ্চয়তা নেই। তবে ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীরের বিকল্প খোঁজার চেষ্টা ইতিমধ্যেই চালিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ় শেষ হওয়ার পরেই চেষ্টা করা হয়েছে বিকল্প খোঁজার। রাজি হননি প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ। আপাতত অপেক্ষা করা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
সাদা বলের ক্রিকেটে গম্ভীরের সাফল্য যতটা ভাল, লাল বলের ক্রিকেটে ততটাই খারাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভাবতে বাধ্য করেছে বোর্ডকর্তাদের। মুখে তাঁরা গম্ভীরের পাশে থাকলেও, ভেতরে ভেতরে বিকল্প খোঁজার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থার খবর। কথা বলা হয়েছিল লক্ষ্মণের সঙ্গে। তিনি শুভমন গিলদের দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।
ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গম্ভীরই সঠিক লোক কি না, তা নিয়ে এখনও বোর্ডের অন্দরে দ্বিমত রয়েছে। ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ় ড্র করে আসার পর ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের হাতে চুনকাম হয়েছে দল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য থেকে বেশ কিছুটা দূরে তারা।
বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “বোর্ডের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা এখনও গম্ভীরের উপরেই ভরসা রাখছে। যদি ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে বা ফাইনালে ওঠে, তা হলে চুক্তির পুরো মেয়াদ গম্ভীরের থাকা নিশ্চিত। তবে টেস্টে কোচ থাকবে কি না সেটা বলার সময় এখনও আসেনি।”
ওই সূত্র আরও বলেছেন, “গম্ভীরের সুবিধা হল, এখনই বোর্ডের হাতে তেমন বিকল্প নেই। ভারতের টেস্ট দলকে কোচিং করাতে আগ্রহী নয় লক্ষ্মণ।”
সংবাদ সংস্থার খবর, সাজঘরের পরিস্থিতিও যে পুরোপুরি স্বাভাবিক এমন বলা যাবে না। গম্ভীরের জমানায় কোনও ক্রিকেটারই নিরাপদে দিন কাটাতে পারছেন না। ভাল খেলতে না পারলেই দল থেকে ছাঁটাই হওয়ার ভয় রয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুভমন গিলের বাদ পড়া সেই ভয় আরও উস্কে দিয়েছে।
রাহুল দ্রাবিড়ের সময়ে পরিস্থিতি আলাদা ছিল। ব্যর্থ হলেও ক্রিকেটারদের সময় দেওয়া হত নিজেকে প্রমাণ করার জন্য। তবে গম্ভীর জমানায় সে সব সুযোগ কেউই বেশি পাচ্ছেন না। প্রতিটি দল নির্বাচনই জন্ম দিচ্ছে একাধিক প্রশ্নের।
আরও পড়ুন:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আইপিএল চলবে আড়াই মাস। দেশের কোনও খেলা নেই। তাই বোর্ডের হাতে অনেকটাই সময় রয়েছে বলে ক্রিকেটমহলের ধারণা। বিশ্বকাপের উপরেই গম্ভীরের কোচ থাকা নির্ভর করবে বলে সংবাদ সংস্থার খবর।