বিশ্বকাপে চোট পাওয়ার সময় হার্দিক। — ফাইল চিত্র।
গত বছর বিশ্বকাপে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। প্রথমে ভেবেছিলেন পাঁচ দিনের মধ্যে ফিরে আসতে পারবেন। সেই চোট সারতে লেগে গেল তিন মাস। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দিয়ে সেই চোট নিয়ে মুখ খুললেন হার্দিক পাণ্ড্য। জানালেন, কী ভাবে গোড়ালি থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত তাঁকে পরিষ্কার করতে হত।
হার্দিক বলেছেন, “আমি ২-৩ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিই না। আমার প্রস্তুতি শুরু হয় এক বছর আগে থেকে। বিশ্বকাপের জন্য দেড় বছর আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু ভয়ঙ্কর চোট পেয়েছিলাম। অনেকেই এই চোটের ব্যাপারে জানেন না। প্রথম বার চোট পাওয়ার সময় বলা হয়েছিল ২৫ দিনের রিহ্যাব করতে হবে। আমার কাছে বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন পাঁচ দিনের মধ্যে ফিরে আসার ব্যাপারে দলকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছিলাম।”
তাতেই সমস্যা বাধে। চোট জোর করে সারাতে গিয়ে আরও বেড়ে যায়। হার্দিক বলেছেন, “আমার গোড়ালিতে বিভিন্ন জায়গায় ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। গোড়ালি থেকে ক্রমাগত রক্ত বেরোত। সেই রক্ত পরিষ্কার করতাম আমি। এতটাই ফুলেছিল গোড়ালি, যে বলার মতো নয়।”
তার পরেও বিশ্বকাপে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন হার্দিক। তা সফল হয়নি। নিজেই বলেছেন, “কোনও ভাবেই হাল ছাড়তে চাইনি। দলের জন্য সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম। একটা সময় বুঝতেও পেরেছিলাম জোর করে চোট সারাতে চাইলে তা আরও বেড়ে যেতে পারে। এটাও ভেবেছিলাম, যদি এক শতাংশও খেলার সুযোগ পাই তা হলে নিজেকে উজাড় করে দেব। কিন্তু চোট আবার ফিরে আসায় সেই স্বপ্ন থেমে যায়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy