ভারত বিশ্বকাপ জেতার পর এ দেশে মহিলাদের ক্রিকেট নিয়ে নতুন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। আগ্রহের কেন্দ্রে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ফাইনালে নাদিন ডি ক্লার্কের ক্যাচ ধরে দেশকে ট্রফি দিয়েছিলেন তিনি। সেই হরমনপ্রীত এখন এত বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব পাচ্ছেন যে, দম ফেলারই সময় নেই।
শোনা গিয়েছে, হরমনপ্রীতের কাছে একের পর এক সংস্থার প্রস্তাব আসছে। রোজই কেউ না কেউ প্রস্তাব নিয়ে হাজির হচ্ছেন। তার কিছু প্রস্তাবে হরমনপ্রীত রাজি হচ্ছেন, কিছু প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছেন। লোভনীয় অর্থের হাতছানিও রয়েছে ভারতের অধিনায়কের কাছে।
হরমনের ম্যানেজার নূপুর কাশ্যপ সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, “বিশ্বকাপের আগে ৮-১০টা সংস্থার হয়ে প্রচার করত হরমনপ্রীত। বিশ্বকাপের পর ওর বাজারদর এবং বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন সংস্থাও হরমনকে নিজেদের মুখ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে। এ রকম প্রস্তাব এসেছে ওর কাছে। ফলে আরও বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে যাচ্ছে হরমনপ্রীতের মুখ।”
২০১৭-এ ফাইনালে ওঠার পর থেকেই ভারতে মহিলা ক্রিকেটারদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে গিয়েছিল। আট বছর পর ট্রফি জয় সেটাকেই নিয়ে গিয়েছে অন্য উচ্চতায়। কাশ্যপ বলেছেন, “একজন ক্রীড়াবিদের ম্যানেজার হিসাবে আমি দেখেছি, বিশ্বকাপ জেতার পর মহিলাদের ক্রিকেটে অনেক বেশি আগ্রহ এবং বিনিয়োগ হচ্ছে। সংস্থার হয়ে প্রচার, ক্রিকেটারদের চাহিদা এবং স্বীকৃতি সবই এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। আগে প্রচারের মধ্যে বৈচিত্র ছিল। এখন মানসিকতা অনেকটাই বদলে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন:
আগে সংস্থাগুলি মহিলা ক্রিকেটারদের শারীরিক উপস্থিতি তুলে ধরতে চাইত। এখন সেটাও বদলেছে বলে জানিয়েছেন কাশ্যপ। তাঁর কথায়, “অনেক সংস্থা চাইছে ক্রিকেটারেরা তাদের হয়ে সমতা, শক্তি এবং অনুপ্রেরণামূলক বার্তা প্রচার করুন। মহিলা ক্রিকেটারদের শক্তিশালী, দক্ষ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। এর ফলে মহিলাদের ক্রিকেটেরই শুধু নয়, ভারতের সমস্ত খেলাধুলাতেই মহিলাদের নিয়ে একটা বদল আসছে।”