গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা দীর্ঘ দিনের। কিন্তু মন্ত্রিত্ব? সেই পিচে বেশি দিন খেলেননি মনোজ তিওয়ারি। সবে বছর খানেক হল। তবে মাঠে যতটা পেশাদার, মন্ত্রী হিসাবেও ততটাই ক্ষুরধার তিনি। দু’টি কাজই একার হাতে সামলাচ্ছেন মনোজ। কখনও ক্রিকেট মাঠে নেমে শতরান করে বাঁচাচ্ছেন বাংলার মান-সম্মান। পরক্ষণেই মন্ত্রীত্বের জরুরি দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। কী ভাবে দুটো কাজ একই সঙ্গে করেন মনোজ?
এক ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারে এর উত্তর দিয়েছেন তিনি। মনোজ বলেছেন, “পুরোটাই ইচ্ছে এবং সময় পরিচালনার উপর নির্ভর করে। আমার বিধানসভা কেন্দ্রে (শিবপুর) যে দল তৈরি করেছি তারা জানে যে আমি না থাকলে কী ভাবে কাজ করতে হবে। আমি ক্রিকেট খেলার সময় সমস্ত দরকারি কাগজপত্র টেবিলে হাজির হয়ে যায়। সকালে ক্রিকেট খেলি। বিকেলে কাগজপত্রে সই করে পাঠিয়ে দিই। ক্রীড়ামন্ত্রকে আমি রাষ্ট্রমন্ত্রী। পূর্ণ মন্ত্রী হিসাবে অরূপ বিশ্বাস রয়েছেন। তিনি অনেক কাজ করেন।”
মনোজ আরও বলেছেন, “আমার ফোন সব সময় খোলা থাকে। দরকার হলে যে কেউ আমাকে রাতে ফোন করতে পারে। আমি সঠিক প্রস্তুতিতে বিশ্বাস করি। যদি কেউ সেটা করতে পারে, তা হলে যে কোনও কিছু সহজে সামলানো যায়। আমার কাছে মন্ত্রিত্বের দায়িত্বটা খুব একটা সহজ ছিল না। তবে চাপ সামলাতে পেরেছি।”
মন্ত্রিত্বের কাজ সামলে ক্রিকেটে সম্পূর্ণ মনোযোগ কি দেওয়া সম্ভব? কখনও কি সমস্যা হয়নি? হাসতে হাসতে মনোজের উত্তর, “এখনও হয়নি। ক্রিকেট খেলার সময় রাজনীতির চিন্তা করি না। আবার রাজনীতির সময় ক্রিকেট নিয়ে ভাবি না। সেটা হলে কোনও দিকই সামলাতে পারব না।”
রঞ্জি সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরেছে বাংলা। মনোজ আবারও জানালেন, রঞ্জি জেতা তাঁর স্বপ্ন। এখনও পর্যন্ত তিন বার খেলেছেন। প্রতি বারই রানার্স-আপ হয়েছেন। মনোজের কথায়, “আমি রঞ্জি জিততে চাই। ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে এটাই আমার স্বপ্ন। ভারতীয় দলে ফেরার কোনও রাস্তা নেই আমার। তাই রঞ্জি জিতে ক্রিকেটজীবন শেষ করতে চাই। এমনিতেই এ বার সেমিফাইনালে হেরে হতাশ। তবে হার-জিত খেলায় রয়েছেই। সেটা মেনে নিতে হবে।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy