হায়দরাবাদের মাঠ ছাড়ার হুঁশিয়ারির জেরে পিছু হটল রাজ্য সংস্থা, কী ফয়সালা হল

সংঘাত লেগেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার। রাজ্য সংস্থার বিরুদ্ধে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলকে অভিযোগও করেছিল হায়দরাবাদ। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। অবশেষে সমস্যার সমাধান হল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হুঁশিয়ারির জেরে পিছু হটতে হল হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগে রাজ্য সংস্থাকে বিনামূল্যে যত টিকিট দেওয়া হত, তত টিকিটই আগামী দিনে দেওয়া হবে। টিকিটের সংখ্যা বাড়বে না।

হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। তার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আগের হিসেব অনুযায়ী মোট দর্শকাসনের ১০ শতাংশ টিকিট রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে দেওয়া হবে।” হায়দরাবাদের স্টেডিয়ামে খেলা হলে ৩৯ হাজার টিকিটের ১০ শতাংশ, অর্থাৎ, ৩৯০০ টিকিট পাবে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা। তার মধ্যে ২৪০০ টিকিট ক্রিকেট সংস্থার সদস্য ও অধীনস্থ ক্লাবগুলিকে দেওয়া হবে। বাকি ১৫০০ টিকিট পুলিশ, জল দফতর, বিদ্যুৎ দফতর ও রাজ্য সরকারের অন্য দফতরগুলিকে দেওয়া হবে।

হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে টিকিট নিয়ে সমস্যা হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। তাদের অভিযোগ ছিল, প্রতিটি ঘরের ম্যাচের জন্য রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে বিনামূল্যে অনেক টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা আরও টিকিট চাইছিল। তাদের ভয় দেখানো হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করে হায়দরাবাদ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছে তারা। হায়দরাবাদ জানিয়েছিল, দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে ঘরের মাঠ বদলে ফেলবে তারা। অন্য কোনও রাজ্যে নিজেদের ঘরের ম্যাচ খেলবে হায়দরাবাদ।

অভিযোগপত্রে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জেনারেল ম্যানেজার শ্রীনাথ টিবি লেখেন, “হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা, বিশেষ করে সংস্থার সভাপতি যে অপেশাদার মনোভাব দেখাচ্ছেন ও হুমকি দিচ্ছেন তা দেখে মনে হচ্ছে ওরা চায় না আমরা এই মাঠে খেলি। যদি সেটাই হয় তা হলে দয়া করে লিখিত আকারে আমাদের তা জানানো হোক। তা হলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, তেলঙ্গনা সরকার ও আমাদের ম্যানেজমেন্টকে জানিয়ে ঘরের মাঠ বদলে ফেলব আমরা।”

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সব কথা জানায় তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডিকে। তা শুনে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের এক সূত্র বলেন, “নজরদার প্রধান (ভিজিল্যান্স চিফ) কোথাকোটা শ্রীনিবাসকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদি হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার কেউ দোষী প্রমাণিত হন, তা হলে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।” সেই সময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের করা অভিযোগ উড়িয়ে দেন হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি জগন্মোহন রাও। তিনি জানান, বিনামূল্যে টিকিট দেওয়ার কোনও দাবি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে করা হয়নি। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান হল।