ওয়াংখেড়ের এই পিচে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং নিউ জ়িল্যান্ড। ছবি: আইসিসি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তিনি জানিয়েছিলেন, আমদাবাদের পিচ প্রত্যাশা মতো স্পিনারদের সাহায্য করেনি। সেই পিচ নিয়ে রিপোর্ট দিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একই সঙ্গে ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড সেমিফাইনালের ‘বদলে দেওয়া’ বিতর্কিত পিচ নিয়েও রায় জানিয়েছে আইসিসি।
ফাইনালের পিচ থেকেও ভারতের সেমিফাইনালের পিচ নিয়ে আইসিসির মতামত বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিসিসিআই কর্তাদের কাছে। নতুন একটি পিচে সেমিফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও, ম্যাচের দু’দিন আগে বেছে নেওয়া হয়েছিল একটি পুরনো পিচকে। ‘পিচ বদল’ নিয়ে বিশ্বকাপের সময় কম বিতর্ক হয়নি। আইসিসির পিচ কিউরেটরও প্রথম সেমিফাইনালের পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সেই বিতর্কিত পিচকে ‘ভাল’ রেটিং দিয়েছে আইসিসি। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের যে পিচে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল হয়েছিল তা অবশ্য ‘গড়পড়তা’ তকমা পেয়েছে। তবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ ইডেনের আউট ফিল্ডকে ‘খুব ভাল’ বলেছেন।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, বিশ্বকাপ ফাইনালের ২২ গজ প্রত্যাশিত মানের ছিল না। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের পিচকে ‘গড়পড়তা’ তকমা দিয়েছে আইসিসি। ফাইনালের ম্যাচ রেফারি তথা জ়িম্বাবোয়ের প্রাক্তন ক্রিকেটারের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। একই রিপোর্টে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ডকে ‘খুব ভাল’ বলা হয়েছে।
বিশ্বকাপের লিগ পর্বের কয়েকটি ম্যাচ রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা যে ২২ গজগুলিতে খেলেছিলেন, সেগুলি সম্পর্কেও রিপোর্ট দিয়েছে আইসিসি। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স ছাড়াও লখনউ, আমদাবাদ এবং চেন্নাইয়ের পিচ পেয়েছ ‘গড়পড়তা’ তকমা। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ম্যাচগুলি খেলেছিল ভারত। অর্থাৎ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের খেলা মোট ছ’টি পিচের রিপোর্ট দিয়েছে আইসিসি। তার মধ্যে একমাত্র মুম্বইয়ের বিতর্কিত ২২ গজকেই ভাল বলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy