সিরিজ় হারতে হয়েছে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই। তাই শনিবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ নিয়মরক্ষার। কিন্তু এই ম্যাচের একেবারে তাৎপর্য নেই, তা নয়। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি তো আতশকাচের তলায় থাকবেনই। দল হিসাবে ভারতের কাছেও এই ম্যাচের গুরুত্ব আছে। সিডনিতে হেরে গেলে ভারতীয় ক্রিকেট এমন লজ্জার সম্মুখীন হবে, যা ৪১ বছরে কখনও হয়নি।
শনিবার সিডনিতে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে ভারত যদি হেরে যায়, তা হলে ১৯৮৪ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক দিনের সিরিজ়ে এটিই হবে ভারতের প্রথম হোয়াইটওয়াশ। সে বার পাঁচ ম্যাচের সিরিজ়ে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি ভারত। দু’টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল।
২০২৭ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট। কিন্তু তার আগে গত ৫ বছরে এক দিনের ম্যাচে ভারতের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। শনিবার হারলে গত পাঁচ বছরে এটি হবে ভারতের তৃতীয় সিরিজ হোয়াইটওয়াশ। ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২০২১-২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক দিনের সিরিজ়ে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারত।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে এটি ভারতের ১৩ নম্বর দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ। এর মধ্যে তারা ৭টিতে হেরেছে।
সিডনিতে এক দিনের ম্যাচে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি রেকর্ড
সিডনিতে এক দিনের আন্তর্জাতিকে ভারতের রেকর্ড খুবই খারাপ। এই মাঠে ভারত-অস্ট্রেলিয়া মোট ১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ১৬টি ম্যাচে জিতেছে এবং ভারত মাত্র দু’বার জিতেছে।
কোহলি এখনও রান পাননি
পর পর দুটি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলির বহু প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তন চরম হতাশায় পরিণত হয়েছে। পার্থে প্রথম ম্যাচে অফ স্টাম্পের বাইরের একটি বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। অ্যাডিলেডে পেসার জেভিয়ের বার্টলেটের বলে এলবিডব্লিউ হন।
সিডনিতে কোহলির রেকর্ড খুবই খারাপ। এখনও পর্যন্ত এই মাঠে চারটি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। ২০১২ সালে কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২১ রান এই মাঠে তাঁর সর্বোচ্চ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার সিডনিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে দিনের শুরুতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ মেঘমুক্ত হবে আকাশ। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৩ এবং ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সকালের দিকে হাওয়ার গতিবেগ একটু বেশি থাকতে পারে বিক্ষিপ্ত ভাবে। সাধারণ ভাবে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে হাওয়ার গতিবেগ। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৫৬ থেকে ৬৯ শতাংশের মধ্যে। সব মিলিয়ে ক্রিকেটের জন্য অনুকূল আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আবহবিদেরা।