আফিউ এমন্যাদার বল সামলাতে পারছিলেন না ভারতীয় ওপেনারেরা। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান বাঁ-হাতি ব্যাটার হর্নুর। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে আউট হন অঙ্গক্রিশ। সেই জায়গা থেকে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক যশ ঢুল ও শেখ রশিদ। ৭১ রান যোগ করে এই জুটি। এক দিক থেকে উইকেট পড় থাকলেও যশ ধৈর্য হারাননি। অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন উইকেটে পড়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে যদি এ দিনের ত্রাতা হন যশ, বল হাতে নায়ক বিকি ওস্টওয়াল। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করলেন তিনি। ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। চার উইকেট রাজ বাওয়ার। এক উইকেট রাজবর্ধন হঙ্গরগেকরের।
২৩৩ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ইথান জন কানিংহামের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রাজবর্ধন হঙ্গরগেকরের ইনসুইং বুঝতে না পেরে ছেড়ে দেন তরুণ ওপেনার। বল আছড়ে পড়ে পিছনের পায়ে। সেই জায়গা থেকে ইনিংসের হাল ধরেন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস ও ভ্যালিন্টিন কিটিমে। ৫৮ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। বাঁ-হাতি স্পিনার বিকি ওস্টওয়ালের বলে ভ্যালিন্ডিন আউট হলেও ক্রিজ়ে ছিলেন ব্রেভিস। দিনের সেরা বলে ভ্যালিন্টিনকে ফিরিয়ে দেন বিকি। বাঁ-হাতি স্পিনারের বল অফস্টাম্পে পড়ে বাইরের দিকে যাচ্ছিল। তাতে ব্যাট বাড়িয়ে বিপদ ডেকে আনেন বিপক্ষ ওপেনার। তিন নম্বরে আসা জিজে মারিকে ফিরিয়ে চাপ বাড়ান বিকি। সেই জায়গা থেকে ব্রেভিস ও ফান হিয়ারডিন কিছুটা রানের গতি বাড়িয়ে প্রতিআক্রমণের চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দলকে জেতাতে ব্যর্থ হলেও ব্রেভিসের ৬৫ রানের ইনিংস ভোলার নয়। বিকির ঘূর্ণি ও রাজের মিডিয়াম পেস বোলিংয়ের সামনে হার মানতে হয় তাঁদের।
প্রথম ম্যাচ জেতায় অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়ল ভারতের ছোটদের। এখন দেখার পরের ম্যাচগুলিতে এই ধারাবাহিকতা তারা বজায় রাখতে পারে কি না।