রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অতিরিক্ত মাথা খাটাতে যাওয়া কি কাল হল ভারতের? প্রশ্ন উঠছে দলের হারের পর। —ফাইল চিত্র
প্রথম ১০ ওভারে ১৩ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। খুইয়েছিল ১ উইকেট। পরের ৮.৫ ওভারে উঠল ৬৫ রান। প্রতি ওভারে ৭ রানের বেশি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটার ট্রাভিস হেড ও মার্নাশ লাবুশেন। ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন তাঁরা। কিন্তু কেন এমন হল? নেপথ্যে কি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের চালাকি? অতিরিক্ত মাথা খাটাতে গিয়ে কি দলকে ডোবালেন ভারতীয় স্পিনার?
ঠিক কী হয়েছিল? তৃতীয় দিন সকালে ১০ ওভার বল হওয়ার পরে আম্পায়ারের কাছে বল বদলের আবেদন করেন অশ্বিন। তিনি জানান, বলের আকার খারাপ হয়ে গিয়েছে। আম্পায়ারের কাছে এক প্রকার জোরাজুরি করছিলেন অশ্বিন। তাঁর কথা মেনে নিয়ে আম্পায়ার বল বদল করেন। তার পরেই বদলে যায় খেলা।
১১তম ওভার থেকে আক্রমণাত্মক শট খেলতে শুরু করেন হেড ও লাবুশেন। পরের দু’ওভারে ২২ রান ওঠে। সেখানেই খেলা ভারতের হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। বল বদলের পরে পিচ থেকে সাহায্য একেবারেই পাচ্ছিলেন না ভারতীয় বোলাররা। উল্টে অনেক বেশি ভয়ডরহীন ব্যাটিং শুরু করেন হেডরা। বোঝা যাচ্ছিল, বল বেশি শক্ত থাকায় শট খেলতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না তাঁদের। পরের ৫৩ বলে খেলা শেষ হয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন অশ্বিন। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, শক্ত বলে আরও বেশি বল ঘুরবে। ফলে সমস্যা হবে ব্যাট করতে। কিন্তু উল্টো ঘটনা ঘটে। অশ্বিনের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, নিজের সিদ্ধান্তে হতাশ তিনি।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে বল বদল নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রোহিত শর্মাকে। ভারত অধিনায়ক অবশ্য অশ্বিনের দোষ ধরেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের মনে হয়েছিল, বলে কিছু সমস্যা হয়েছে। তাই বদল করতে বলেছিলাম। নতুন বলে যদি তাড়াতাড়ি ২ উইকেট পড়ে যেত তা হলে তো সবাই এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করত। কিন্তু সেটা হয়নি। এতে কারও দোষ নেই। আমাদের যেটা মনে হয়েছিল সেটাই করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy