হারের পর হতাশ ভারতীয় দল। ছবি: পিটিআই
ইংল্যান্ডের কাছে এজবাস্টন টেস্টে হেরে গেল ভারত। রোহিত শর্মা না থাকায় এই টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। কোথায় হারতে হল ভারতকে, বিশ্লেষণে আনন্দবাজার অনলাইন। এক, প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রান করলেও ভারতীয় ব্যাটিং ব্যর্থ। ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাডেজা প্রথম ইনিংসে শতরান করেন। এই দু’জনকে বাদ দিলে বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ। দুই ইনিংস মিলিয়ে শুভমন গিল করেছেন ২১ রান, চেতেশ্বর পুজারার রান ৭৯, হনুমা বিহারীর ৩১, শ্রেয়স আয়ার ৩৪।
দুই, দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটারদের মানসিকতা আক্রমণাত্মক ছিল না। পুজারা এবং পন্থ ছাড়া কোনও ব্যাটার দ্বিতীয় ইনিংসে রান পাননি। পুজারা ৬৬ এবং পন্থ ৫৭ রান করেন। অন্তত একজন ব্যাটার বড় রানের ইনিংস খেললে ভারতকে এই টেস্ট হারতে হত না। ব্যাটিং করার সময় রাহুল দ্রাবিড়রা কী পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলেন, বোঝা কঠিন।
তিন, প্রথম ইনিংসে ষষ্ঠ উইকেটে পন্থ এবং জাডেজা ২২২ রান যোগ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পুজারা এবং পন্থ চতুর্থ উইকেটে ৭৮ রান যোগ করেন। এর বাইরে ভারত দুই ইনিংস মিলিয়ে আর একটিও ৫০ রানের জুটি গড়তে পারেনি। অন্য দিকে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে একটি ৬৬ ও একটি ৯২ রানের জুটি গড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ওপেনিং জুটিতে ১০৭ রান করে। এর পর অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে জো রুট এবং জনি বেয়ারস্টো ২৬৯ রান যোগ করেন। এটাই ম্যাচে তফাত গড়ে দেয়।
চার, বিপক্ষের ২০টি উইকেট নেওয়ার মতো বোলার ভারতের ছিল না। যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ কিছুটা সফল হলেও বাকিরা সুবিধা করতে পারেননি। বিশেষ করে শার্দুল ঠাকুর ব্যর্থ। স্পিনারের অভাবও বোধ করেছে ভারত। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। কিন্তু তিনি একটিও উইকেট পাননি।
পাঁচ, শেষ দিন ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১১৯ রান, ভারতের দরকার ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু শুরু থেকেই ভারতীয় দলের মানসিকতা দেখে মনে হচ্ছিল, তারা ধরেই নিয়েছে ম্যাচ হেরে গিয়েছে। চতুর্থ দিনও দু’টি ক্যাচ ফেলে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy