নিজেদের ব্যর্থতা কি মানতে পারছেন না হরমনপ্রীত কৌর? দেখতে পাচ্ছেন না কোথায় সমস্যা হচ্ছে দলের? বুঝতে পারছেন না এই হারের দায় কাদের? তা হলে এমন অদ্ভুত যুক্তি কেন দিচ্ছেন তিনি? দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রিচা ঘোষ ছাড়া ব্যর্থ ভারতের ব্যাটিং। জঘন্য বল করেছেন বোলারেরাও। তবু হারের পর অদ্ভুত যুক্তি শোনা গেল ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীতের মুখে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভেঙে পড়েছিল ভারতের ব্যাটিং। ১০২ রানে পড়ে যায় ৬ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন রিচা। ৭৭ বলে ৯৪ রান করেন তিনি। ম্যাচ শেষে হরমনপ্রীত বলেন, “দুটো দলই ভাল খেলেছে। আমাদের ব্যাটিং ভেঙে পড়লেও তো ২৫০ রান করেছি। সেটা কম নয়। তবে শেষ দিকে ক্লোয়ি ও ডি’ক্লার্ক দেখিয়েছে, এই পিচ ব্যাটিংয়ের পক্ষে কতটা ভাল। ওরা যোগ্য দল হিসাবে জিতেছে।”
হরমনপ্রীতের কথা থেকেই স্পষ্ট, পিচে জুজু ছিল না। সেই কারণেই ৮১ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও ২৫২ রান তাড়া করে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তা হলে তাঁরা কেন পারলেন না? সেটা কি ব্যাটিং ব্যর্থতা নয়? যদি তাই হবে, তা হলে এই হারের দায় তো সম্পূর্ণ তাঁদের। সেই দায় কেন নিলেন না ভারত অধিনায়ক? কেন অজুহাত দিতে হল তাঁকে?
আরও পড়ুন:
হরমনপ্রীত অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন যে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে পারেননি তাঁরা। ব্যস ওইটুকুই। ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে আর কোনও শব্দ খরচ করেননি তিনি। ভারত অধিনায়ক বলেন, “টপ অর্ডার হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে আমরা ব্যাট করতে পারিনি। তবে এটা লম্বা প্রতিযোগিতা। এই ম্যাচটা আমাদের ভাল যায়নি। তবে তার মধ্যেই বেশ কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। অনেক কিছু শিখেছি। সেই শিক্ষা নিয়ে এগোতে চাই।”
সবচেয়ে বড় ইতিবাচক বিষয় হল রিচার ইনিংস। নইলে লড়াই করার জায়গাতেই যেতে পারত না ভারত। রিচার প্রশংসা শোনা গিয়েছে হরমনের গলায়। তিনি বলেন, “যে ভাবে ও বড় শট মারছিল, তা দেখে খুব আনন্দ হচ্ছিল। ওর বড় শট আমাদের এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল।” তার পরেও তো জিততে পারলেন না। বিশ্বকাপে প্রথম হারতে হল। পরের ম্যাচেই প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। এখন দেখার, কতটা শিক্ষা নিয়ে সেই ম্যাচে নামতে পারেন হরমনপ্রীতেরা।