Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Indian Football

ফুটবল, ক্রিকেট দুই মাঠেই দাপট দেখিয়ে জয়, মঙ্গল-রাতে ‘মেরা ভারত মহান’

মঙ্গলবার ৮৮১ কিমির ব্যবধানে নেমেছিল ভারতের ক্রিকেট দল এবং ফুটবল দল। দুই দলের কাছেই লক্ষ্য ছিল জয়। দিনের শেষে দু’দলই লক্ষ্যপূরণে সফল।

ক্রিকেটে জিতল ভারত।

ক্রিকেটে জিতল ভারত। ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২২ ২৩:১৪
Share: Save:

বিশাখাপত্তনম থেকে কলকাতার দূরত্ব ৮৮১ কিমি। মঙ্গলবার এই দূরত্ব ঘোচাতেই নেমেছিল ভারতের ক্রিকেট দল এবং ফুটবল দল। এক দিকে ছিল সিরিজে টিকে থাকার লড়াই। আর এক দিকে ছিল গ্রুপ শীর্ষে ওঠার লড়াই। দু’দলের ম্যাচও শেষ হল পিঠোপিঠি। দিনের শেষে সফল দুই দলই। বিশাখাপত্তনমে ঋষভ পন্থ যেমন মুখে হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়লেন, তেমনই যুবভারতীর বৃষ্টিস্নাত স্টেডিয়ামে সুনীল ছেত্রীর হাসিমুখ কারওর নজর এড়ায়নি। মঙ্গলবার রাতে এ ভাবেই মিলে গেল দুই ভারত।

এ দিন নেমেছিলেন পন্থরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই ম্যাচ ছিল তাদের কাছে মরণ-বাঁচন লড়াই। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে টিকে থাকতে গেলে এই ম্যাচে তাদের জিততেই হত। শুরুটা হয়েছিল তেতো মুখেই। সিরিজে টানা তৃতীয় ম্যাচে টসে হারলেন পন্থ। দক্ষিণ আফ্রিকা যথারীতি টসে জিতে ফিল্ডিং নিল। তবে পন্থের টস হারের হতাশা মিলিয়ে দিলেন দুই তরুণ ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ঈশান কিশন। দুই ওপেনারের তুমুল মারে প্রথম উইকেটেই উঠে গেল প্রায় একশোর কাছাকাছি রান।

অনরিখ নোখিয়ার পরপর পাঁচ বলে পাঁচটি চার মারলেন রুতুরাজ। অন্য প্রান্তে থাকা ঈশানও কম যাচ্ছিলেন না। দু’জনেই অর্ধশতরান করে দিলেন। শুরুটা ভাল হলে এমনিতেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। ভারতের ক্ষেত্রেও সেটাই হল। নেতা পন্থ বাদে পরের দিকে যাঁরা নামলেন, তাঁরা রান করে গেলেন। হার্দিক পাণ্ড্য ২১ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকলেন। ১৭৯-৫ তুলল ভারত।

যুবভারতীতে জয় সুনীলদের।

যুবভারতীতে জয় সুনীলদের। ছবি টুইটার

ক্রিকেট দলের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়া এবং ফুটবল দলের ম্যাচ শুরু হওয়ার মধ্যে তফাত ছিল সামান্যই। ক্রিকেটের মতো ফুটবল মাঠেও শুরুটা দুর্দান্ত হল। দ্বিতীয় মিনিটেই ভারতকে এগিয়ে দিলেন আনোয়ার আলি। এর পর ম্যাচে দাপট দেখাতে থাকলেন সুনীল ছেত্রীরাই। বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তারা। সেই কাজে সফলও হন। প্রথমার্ধ শেষের কয়েক মুহূর্ত আগে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন সুনীল ছেত্রী।

বিশাখাপত্তনমে ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে হর্ষল পটেল এবং যুজবেন্দ্র চহালের দাপট। দক্ষিণ আফ্রিকার ছন্দে থাকা ক্রিকেটারদের একের পর এক ফেরাতে শুরু করেছেন তাঁরা। বিরতির পর বৃষ্টিভেজা যুবভারতীতে সুনীলরা নামলেন। ও দিকে বিশাখাপত্তনমে অক্ষর-সুনীলরা জাদু দেখাতে শুরু করলেন। দুটোই হচ্ছিল প্রায় একই সময়ে। এক দিকে মনবীর যখন গোল দিচ্ছেন, অপর দিকে চহাল তখন ফেরাচ্ছেন হেনরিখ ক্লাসেনকে। যুবভারতীতে ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার কিছু ক্ষণ পরেই বিশাখাপত্তনমে তাবরেজ শামসিকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার নটেগাছ মুড়িয়ে দিলেন হর্ষল পটেল।

মঙ্গল-রাতে এ ভাবেই মিলে গেল দুই ভারত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE