মুম্বইয়ে শুরুতেই ২৪৭ রান তুলে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারত। সেটাই কাজে লাগালেন মহম্মদ শামি। শুরুতেই বেন ডাকেটের উইকেট নেন তিনি। এর পর দ্বিতীয় স্পেলে আদিল রশিদ এবং মার্ক উডকে আউট করে ম্যাচ শেষ করেন। শামির হাতেই শুরু আবার তাঁর হাতেই শেষ মুম্বইয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস। স্বস্তি পেলেন গৌতম গম্ভীরেরা।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ভারতের হয়ে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন শামি। তার পর থেকেই চোটের কারণে খেলতে পারছিলাম না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর। রাজকোটে খেলেছিলেন। কিন্তু সেই ম্যাচে উইকেট পাননি। ২৫ রান দিয়েছিলেন শামি। ম্যাচটাও হেরে গিয়েছিল ভারত। মুম্বই যদিও খালি হাতে ফেরায়নি শামিকে। এক দিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়াংখেড়েতেই নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাত উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ জেতানো সেই ম্যাচ এখনও ভুলতে পারেননি সমর্থকেরা। মুম্বইয়ের সেই মাঠেই আবার দেশের জার্সিতে উইকেট নিলেন শামি।
ডাকেট নিজের উইকেটটি প্রায় উপহার দিলেন শামিকে। কভারের দিকে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন। প্রথম বলেই তাঁকে তুলে নেন শামি। সঙ্গে সঙ্গে কোচ গৌতম গম্ভীরকে দেখা যায় হাততালি দিতে। শামির উইকেট পাওয়া যে কতটা দরকার, সেটা তাঁর থেকে ভাল আর কে জানে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা যে শামিই।
আরও পড়ুন:
রশিদকে শর্ট বল করেছিলেন তিনি। পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন রশিদ। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেল। উডকেও শর্ট বল করেন শামি। লেগ সাইডের দিকে ব্যাট চালিয়েছিলেন উড। সেই বলও চলে যায় উইকেটরক্ষক ধ্রুবের হাতে। শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ২.৩ বল করে ২৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন শামি। যদিও প্রথম ওভারে ১৭ রান দিয়েছিলেন তিনি। পরের ৯ বলে দেন মাত্র ৮ রান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে শামি ফর্মে ফিরলে স্বস্তি পাবেন রোহিত শর্মারা। কারণ জসপ্রীত বুমরাহ খেলতে পারবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। সেই কারণে শামিকে সেরা ফর্মে দরকার ভারতের।