রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় ক্রিকেটারদের কিছু ভাল ফিল্ডিংয়ের নমুনা দেখা গিয়েছে। ওপেনার তাজ়মিন ব্রিটসের রান আউট থেকে শুরু করে নাদিন ডি ক্লার্কের শটে হরমনপ্রীত কৌরের ক্যাচ। তবে সব ছাপিয়ে উঠে এসেছে আমনজ্যোৎ কৌরের ক্যাচ, যে ক্যাচে ফিরে গিয়েছিলেন লরা উলভার্ট। ম্যাচের সেরা ফিল্ডারের পদক পেয়েছেন তিনিই।
সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় বোর্ড একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। সেখানেই আমনজ্যোতের গলায় সেরা ফিল্ডারের পদক পরিয়ে দিয়েছেন জেমাইমা রদ্রিগেজ়। ভিডিয়োয় জেমাইমা বলেছেন, “আমরা বিশেষ মুহূর্তের কথা বলি। বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা বলি। এমন অনেক মুহূর্ত থাকে যেটা আমাদের জীবন পুরোপুরি বদলে দেয়। আজ সে রকমই একটা মুহূর্ত আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে এবং সেটা এসেছে আমনজ্যোতের থেকে। তুমি শুধু ক্যাচ ধরোনি, বিশ্বকাপটাই ধরে ফেলেছো।”
জেমাইমা আরও বলেন, “প্রথমে রান আউটের ক্ষেত্রে শুরুটা করা। তার পর ও রকম ক্যাচ।” বলেই আমনজ্যোতের সামনে তাঁর গলায় পদক পরিয়ে দেন জেমাইমা। বাকিরা তখন ‘আমনজ্যোৎ, আমনজ্যোৎ’ বলে চিৎকার করছেন।
শতরান করে আর একটু হলেই ভারতের হাত থেকে ম্যাচ কেড়ে নিচ্ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্ট। আমনজ্যোৎ সেই উলভার্টের ক্যাচই ধরেন। সেই প্রসঙ্গে ম্যাচের পর বলেন, “আমার জীবনের কঠিনতম ক্যাচ। এ রকম আগে কখনও হয়নি। হয় ক্যাচ ধরেছি, বা ফস্কেছি। এই প্রথম তিন বারের চেষ্টায় ক্যাচ ধরলাম। গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ছিল ওটা। আমরা জানতাম শতরান হয়ে গেলেই উলভার্ট আরও চালিয়ে খেলবে।”
আরও পড়ুন:
বোর্ডের ভিডিয়োয় রয়েছে আর একটি মজার ঘটনাও। ফিল্ডিং কোচ মুনিশ বালি জানান, তিনি সেরা ফিল্ডারের একটি তালিকা বানাচ্ছিলেন। সেখানে সকলের আগে রয়েছে স্মৃতি মন্ধানার নাম। তিনি আটটি ক্যাচ নিয়েছেন। শুনে বিশ্বাসই করতে পারেননি মন্ধানা। তখনই বালিকে থামিয়ে দিয়ে জেমাইমা বলেন, “এক মিনিট স্যর, আমি আর রাধা (যাদব) কি ছোলা খাচ্ছিলাম?” সে কথা শুনে বাকিরা হাসতে থাকেন।