এ ভাবেই বরণ করে নেওয়া হল ঝুলন গোস্বামীকে। ছবি: সিএবি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরে শহরে ফিরলেন ঝুলন গোস্বামী। শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ঝুলন। সিরিজ জিতে সোমবার সকালে শহরে পা রাখলেন তিনি। পুষ্পবৃষ্টিতে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হল।
সোমবার সকালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঝুলনকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বাংলার ক্রিকেট সংস্থার (সিএবি) সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। ছিলেন সিএবি-র যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস-সহ অন্য সদস্যরা। ফুলের তোড়ায় তাঁরা বাংলার মেয়েকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাংলার বিভিন্ন বয়সের মহিলা ক্রিকেটাররা। তাঁরা ঝুলনের উপর পুষ্পবৃষ্টি করেন। ঝুলনের সঙ্গে কলকাতায় পা রাখেন আর এক ক্রিকেটার দীপ্তি শর্মাও। তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে ইংল্যান্ডের শার্লি ডিনকে ‘মাঁকড়ীয়’ রান আউট করার পর থেকে আলোচনায় রয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচই যে তাঁর শেষ ম্যাচ, এটা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঝুলন কখনও বলেননি। বস্তুত, নিজের অবসর নিয়ে তিনি কখনওই মুখ খোলেননি। তবু বোর্ড, সতীর্থ ক্রিকেটারদের তরফে বলে দেওয়া হয়, শনিবারই ঝুলনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই ম্যাচের পরের দিন ঝুলন আনুষ্ঠানিক ভাবে অবসর ঘোষণা করেছেন।
ঝুলন লিখেছেন, ‘অবশেষে সেই দিনটা চলেই এল। সব যাত্রা যে ভাবে শেষ হয়, আমার ২০ বছরের ক্রিকেট যাত্রারও সে ভাবেই শেষ হল। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আজ অবসর ঘোষণা করছি।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘খুব তৃপ্তিদায়ক যাত্রা ছিল। একইসঙ্গে খুব উত্তেজক। নিজের সর্বস্ব দিয়ে ২০ বছর ভারতের জার্সি পরে থাকতে পারা গর্বের ব্যাপার। ম্যাচের আগে প্রতি বার জাতীয় সঙ্গীত শোনার সময় গর্ব অনুভব করতাম।’
ঝুলন ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিসিসিআই, সিএবি, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবং এয়ার ইন্ডিয়াকে। আলাদা করে কারওর নাম তিনি নেননি। পাশাপাশি লিখেছেন, ‘ক্রিকেটার হিসেবে বরাবর সৎ থাকতে চেয়েছিলাম। আশা করি ভারত এবং গোটা বিশ্বে মেয়েদের ক্রিকেটে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পেরেছি। আমাকে দেখে আরও মেয়ে ক্রিকেট খেলতে এগিয়ে আসবে, এটাই আমার আশা।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy