জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ছবি: টুইটার।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর কোচিংয়ে এসেছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলেরও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই ‘জীবনের সব থেকে দুঃখের’ দিনের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াকে কোচ হিসাবে একাধিক সাফল্য দিলেও তার মূল্য পাননি বলে মনে করেন ল্যাঙ্গার।
ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, জাতীয় দলের কোচ হিসাবে বিদায় পর্ব ছিল তাঁর কাছে অত্যন্ত অসম্মানজনক। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে তাঁর যা অবদান, তাতে সেটা তাঁর প্রাপ্য ছিল না। সেই অপমানের যন্ত্রণা অনেক দিন বয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের কোচিং পর্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন যন্ত্রণার কথা।
কোচ ল্যাঙ্গার অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন না। অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর প্রশিক্ষণের পদ্ধতিকে নিষ্ঠুর বলে চিহ্নিত করেছিলেন কোনও কোনও ক্রিকেটার। চুক্তি শেষ হওয়ার পর ছ’মাসের জন্য ল্যাঙ্গারকে অস্থায়ী ভাবে জাতীয় দলের কোচ রেখেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কর্তারা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নতুন করে তাঁর দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ল্যাঙ্গার বলেছেন, ‘‘কোচ হিসাবে শেষ দিকটাই আমার সব থেকে কঠিন সময় ছিল। খেলোয়াড়দের থেকে যে ভাবে আমাকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেটা খুব কষ্ট দিয়েছিল। সারা সপ্তাহ ওদের সঙ্গে থাকতাম। গোটা গ্রীষ্ম ওদের সঙ্গে থাকতাম। ওরা সবাই আমার সন্তানের মতো ছিল। চার বছর ওদের সঙ্গে থেকেছি। হঠাৎই শুনলাম ওদের থেকে আমাকে আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। কেন? তা কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছিলাম। ছেলেদের সত্যিই ভালবাসতাম আমি। এখনও ওদের ভালবাসি।’’
কোচ হিসাবে অস্ট্রেলিয়াকে বেশ কিছু সাফল্য এনে দিয়েছিলেন ল্যাঙ্গার। ১৮ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ় অমীমাংসিত রাখতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ল্যাঙ্গারের প্রশিক্ষণে ২০২১ সালে প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ঘরের মাঠে ৪-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ সিরিজ় জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাও কোচ হিসাবে দ্বিতীয় বার তাঁর সঙ্গে চুক্তি করা হয়নি। ২০২২ সালের এপ্রিলে অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডকে জাতীয় দলের কোচ হিসাবে নিযুক্ত করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy