Advertisement
১০ মে ২০২৪
justin langer

Justin Langer: তিনি নোংরা রাজনীতির শিকার! ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দোষারোপ করে বিস্ফোরক ল্যাঙ্গার

অস্ট্রেলিয়ার কোচ থাকাকালীন অনেক অপমান সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন ল্যাঙ্গার।

জাস্টিন ল্যাঙ্গার।

জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ২০:২০
Share: Save:

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কোচের পদ ছেড়ে দিয়েছেন মাস তিনেক হল। এ বার সে দেশের বোর্ডের বিরুদ্ধে সরাসরি নোংরা রাজনীতির অভিযোগ তুললেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। জানালেন, রাজনীতির জন্যেই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল তাঁকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং অ্যাশেজ জয়ের পরেও তাঁকে মাত্র ছ’মাসের চুক্তি দিয়ে অপমান করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ল্যাঙ্গার। তাঁর পাশে এক সময়ের সতীর্থরা যে ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটাও ভাল চোখে দেখেনি বোর্ড।

ল্যাঙ্গারের সঙ্গে অপমানজনক আচরণের বিরোধিতা করে মুখ খুলেছিলেন মার্ক ওয়া, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়া, ম্যাথু হেডেন, এমনকি প্রয়াত শেন ওয়ার্নও। বোর্ডের প্রতি ল্যাঙ্গারের যে তীব্র রাগ রয়েছে, সেটা ল্যাঙ্গারের কথাতেই বোঝা গিয়েছে। তিনি ক্ষিপ্ত চেয়ারম্যান রিচার্ড ফ্রিউডেনস্টাইনের প্রতি।

ল্যাঙ্গারের কথায়, “প্রথম বার দেখা হতেই ও আমাকে বলল, ‘বন্ধু এবং সংবাদমাধ্যম তোমার পাশে দাঁড়িয়েছে বলে নিশ্চয়ই তুমি খুব খুশি।’ আমি বললাম, ‘অবশ্যই। ওরা শুধু আমার বন্ধু নয়, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা। ওরাই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে বিশ্বে পরিচিতি দিয়েছে। আমি খুশি যে ওরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।” অপমান সত্ত্বেও ল্যাঙ্গারের মতে, ১২ বছরের কোচিং জীবনে শেষ ছ’মাসই তাঁর সবচেয়ে সুন্দর সময়। “আমরা শুধু সব জিতিইনি, আমার মধ্যে সেই শক্তি এবং মনঃসংযোগ ছিল এবং আমি খুশি ছিলাম।”

বোর্ডের রাজনীতি তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে প্রভাবিত করেছিল বলে জানিয়েছেন ল্যাঙ্গার। তাঁর কথায়, “শেষ তিন-চার বছর ধরে রাজনীতি নিয়ে অনেক ভেবেছি। সবাইকে সন্তুষ্ট রাখতে চেয়েছি। তাতে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে প্রভাব পড়েছিল। সবাইকে সন্তুষ্ট রাখতে গিয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE